সংক্ষিপ্ত
- কেরলের এর্নাকুলামের সাংসদ হিবি এডেনের স্ত্রীর বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট
- নিয়তির সঙ্গে ধর্ষণের তুলনা টেনে মজার চেষ্টা
- সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় ওঠে ফেসবুক পোস্ট দেখে
- পরে ক্ষমা চেয়ে নেন আন্না লিন্ডা এডেন
সাংসদের স্ত্রী বলে কথা। তার উপর ধর্ষণের মতো সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মজা। ফল যা হওয়ার তাই হল। মুহূর্তের মধ্যে সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে নেটিজেনদের রোষানলে পড়লেন কেরলের এর্নাকুলামের সাংসদ হিবি এডেনের স্ত্রী আন্না লিন্ডা হেডেন। যিনি নিজে আবার পেশায় একজন সাংবাদিক।
গত সোমবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন আন্না। সেখানে তিনি মজা করে লেখেন, 'ধর্ষণ হল নিয়তির মতো। যদি আপনি সেটা আটকাতে না পারেন, তাহলে উপভোগ করুন।' ওই পোস্টের সঙ্গেই তিনি নিজের বাড়ির সামনের জলমগ্ন অংশের ছবি আর নিজের স্বামীর আইসক্রিম খাওয়ার ছবি পোস্ট করেন।
ফেসবুকে সাংসদ পত্নীর এই মন্তব্যে বিতর্কে ঝড় ওঠে। আন্নার সমালোচনায় সরব হন অনেকেই। কীভাবে ধর্ষণের মতো বিষয় নিয়ে তিনি এমন ঠাট্টা করতে পারলেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন নেটিজেনরা। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার সকালে ওই পোস্ট সরিয়ে নেন আন্না। একই সঙ্গে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।
আন্নার পোস্ট দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেন, তাঁর এই একটি পোস্ট ধর্ষণের শিকার হওয়া নির্যাতিতাদের কতখানি আঘাত করতে পারে, সে সম্পর্কে কি ভেবে দেখেছেন তিনি? কেউ কেউ আবার বলেন, 'আপনি একজন সাংবাদিক এবং একজন আইনের ছাত্রী। তার উপর একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। কিছুটা তো লজ্জা করুন!' অন্য একজন আবার কটাক্ষ করে লেখেন, 'শুধুমাত্র শিক্ষিত হলেই একজন পরিষ্কার মনের মানুষ হওয়া যায় না। কোন পরিবেশে আপনি বড় হচ্ছেন, আপনার সহমর্মিতা কতটা, চারপাশে কারা থাকছে, এগুলিই একজন ভাল মানুষকে তৈরি করে দেয়।'
প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে নিজের পোস্টের স্বপক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে ক্ষমা চান আন্না। তিনি লেখেন, 'আমি খুবই কঠিন সময়য়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের কোনওভাবে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমার পোস্টের কারণে যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।' সাংসদ পত্নী আরও দাবি করেন, স্কুলে পড়ার সময় এক অভিনেতার মুখে শোনা সংলাপকেই শুধুমাত্র নকল করতে গিয়েছিলেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়েই গিয়েছে।