সংক্ষিপ্ত

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক। বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে শর্মার উপর মুসলিমদের টার্গেট করার অভিযোগ এনেছেন।

 ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ঘৃণাত্মক বক্তব্যের অভিযোগ लगातার উঠছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বক্তব্য নিয়ে বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী নেতারা বিজেপি নেতা শর্মার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিরোধীদের বক্তব্য, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঝাড়খণ্ডে প্রচারে মুসলমানদের টার্গেট করছেন।

হিমন্ত বিশ্ব শর্মার উপর কী অভিযোগ?

বিরোধী নেতারা ঝাড়খণ্ডের মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তাকে লেখা চিঠিতে বলেছেন: ভাষণে মুসলিম সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অত্যন্ত বিভাজনकारी এবং ঘৃণাত্মক শব্দ ব্যবহার করেছেন। শর্মা বলেছিলেন যে 'ওরা একই জায়গায় ভোট দেয় কিন্তু আমাদের হিন্দুরা অর্ধেক ভোট এদিকে দেবে, অর্ধেক ওদিকে' এবং 'এই সরকার অনুপ্রবেশকারীদের ডাকে কারণ বিশেষ সম্প্রদায় তাদের ভোট দেয়'।

বিরোধীদের বক্তব্য, শর্মার বক্তব্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং সহিংসতা উস্কে দেবে। শর্মা ক্রমাগত বিষাক্ত ভাষা ব্যবহার করছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, শর্মার দেওয়া এই ঘৃণাত্মক বক্তব্য তাঁর এবং তাঁর দল ভারতীয় জনতা পার্টির বিভাজনকারী রাজনীতির একটি উদাহরণ। বিজেপি নেতারা ভোটারদের মেরুকরণ করার চেষ্টা করছেন।

এদিন, রবিবার রাচীর জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ স্থানীনকেই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ একই কারণে বন্ধ হয়নি। স্থানীয় প্রশসনের সায় রয়েছে। বিএসএফ তো সব জায়গায় আছে। অসমেও আছে। ঝাড়খণ্ড ও বাংলায় রয়েছে।'ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে কটাক্ষ করে অমিত শাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে কোথাও নদী নালা রয়েছে। কোথাও পাহাড় রয়েছে। সর্বত্র সুরক্ষা সম্ভব নয়। কিব্তু আমি হেমন্তবাবুকে জিজ্ঞাসা করতে চাই ঝাড়খণ্ডে যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী ঢোকেন, আপনারা ভূমিরাজস্ব দফতর তখন কী করে? জেলাশাসকরাই বা কী করছেন, পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হচ্ছে না কেন? কেন্দ্রীয় সরকারকে কেন জানান হচ্ছে না?’