সংক্ষিপ্ত

ফের বিতর্কে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

সিএএ বিরোধী প্রতিবাদীরা মরার ইচ্ছে নিয়েই রাস্তায় নামছেন বলে দাবি তাঁর।

উত্তরপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যাননি বলেও দাবি করলেন তিনি।

বলে দিলেন, মরার ইচ্ছে নিয়ে এলে তাকে বাঁচানো যায় না।

 

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আর বিতর্ক যেন একই মুদ্রার দুই পিঠ। বুধবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় গত ডিসেম্বরে প্রায় ২০ জন সিএএ বিরোধী প্রতিবাদীদের মৃত্যুর বিষয়ে অসংবেদী মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন। আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ ঝধারণ করলে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। তাতেই ওই প্রতিবাদীদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন অবশ্য যোগী দাবি করেন, যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা মরার অভিপ্রায় নিয়েই এসেছিলেন। তাই তাদের পক্ষে বেঁচে থাকাটা সম্ভব ছিল না।

তিনি সাফ জানান, পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি। যাদের মৃত্যু হয়েছে, তারা সবাই দাঙ্গাবাজদের চালানো গুলিতেই মারা গেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সরল অঙ্ক, কেউ যদি গুলি চালানোর অভিপ্রায় নিয়ে রাস্তায় নামে, তাহলে হয় সে অথবা পুলিশ, কারোর একজনের তো মৃত্যু হবেই।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর থেকেই আইনটির বিরুদ্ধে লখনউ, কানপুর এবং প্রয়াগরাজে অবিরাম বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। এক ঘন্টা দীর্ঘ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর সরকার বিক্ষোভের বিরুদ্ধে নয়, যারা হিংসার ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে। যে কোন গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে তাঁরা সমর্থন করেন বললে জানান আদিত্যনাথ। কিন্তু যদি কেউ গণতান্ত্রিক আবহাওয়াকে নষ্ট করতে চাইলে 'তারা যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে' জানিয়ে দেন যোগী।

পুলিশের গুলির কারণে রাজ্যে কোনও সিএএ বিরোধী প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়নি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যটি কিন্তু সঠিক নয়। পুলিশ-এর রেকর্ডই অন্য কথা বলছে। বিজনোর জেলার স্থানীয় পুলিশের খাতায় লেখা আছে, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে ওঠার পর তারা গুলি চালিয়েছিল। অন্তত একজন বিক্ষোভকারীদের পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিল বলে স্বীকার-ও করেছে তারা। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। এই রকম ঘটনা বেশ কিছু ঘটেছে।