সংক্ষিপ্ত
ফের আটকে গিয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের ফাঁসি।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার।
স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েন নির্ভয়ার মা।
সেই সময়ই আসামিদের আইনজীবী তাঁকে নির্মম চ্যালেঞ্জ করেন বলে অভিযোগ।
৭ বছর আগের এক শীতের রাতে তাঁর মেয়েকে ছিঁড়ে খেয়েছিল ছয় নরপিশাচ। তাদের একজন আইনকে ফাঁকি দিয়েছে। আর একজন নাবালক বলে ছাড় পেয়েছে। বাকি চারজনের ফাঁসি নিয়ে চলছে চূড়ান্ত আইনি নাটক। শনিবার ভোরেই ন্যায়বিচারের কথা ছিল। কিন্তু, তার মাত্র ১২ ঘন্টা স্থগিত হয়ে গিয়েছে সেই কার্যক্রম। এই অবস্থায় একজন মায়ের মনের অবস্থাটা কী হতে পারে, তা সকলেই বোঝে। সেই অবস্থায় তাঁকে নির্মম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন ধর্ষকদের আইনজীবী। এমনটাই অভিযোগ করেছেন আশা দেবী।
শুক্রবার, দিল্লি একটি আদালত পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের ফাঁসির পরোয়াণায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই আশা দেবী সেই অবস্থায় একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন। সাত বছর ধরে কাঙ্খিত লক্ষ্যের এতটা কাছে এসে দু-দুবার আটকে যাওয়ার ধাক্কাটা গ্রহণ করা মুখের কথা নয়। নির্ভায়ার মা-এর অভিযোগ, সেই অবস্থাতেই আসামিদের পক্ষের আইনজীবি এপি সিং তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আসামিদের কখনই ফাঁসি দেওয়া হবে না।
এদিন আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আশা দেবী বলেন, 'এপি সিং আমাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, দোষীদের কখনই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে না। তবে আমি আমার লড়াই চালিয়ে যাব। সরকারকে আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করতেই হবে'। তিনি আরও বলেন আদালতের এই কার্যক্রমে তাঁদের আশা ক্রমশঃ ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তবে, তাই বলে তিনি দমে যাচ্ছেন না। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, 'দোষীদের ফাঁসি না দেওয়া পর্যন্ত লড়াই করে যাব'।
প্রথমে ঠিক হয়েছিল আসামিদের ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় ফাঁসি দেওয়া হবে। কিন্তু অন্যতম আসামি মুকেশ সিং-এর প্রাণভিক্ষার আবেদনের জন্য তা স্থগিত হয়ে ফাঁসির দ্বিতীয় সময় নির্ধারিত হয়ছিল ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টা। কিন্তু, আবার আরেক আসামি বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছে। তাতেই এদিন ফের ফাঁসি স্থগিত হয়ে গিয়েছে।
এদিন সকালে দিল্লির এক আদালত তিহার জেল প্রশাসনকে নোটিশ পাঠিয়ে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামিদের প্রাণভিক্ষার আবেদনের মামলা কোন পর্যায়ে আছে তা জানতে চায়। তিহার জেল থেকে জানানো হয়েছিল, বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আবেদন ছাড়া আর কারোর কোনও মামলা চলছে না। তাই বাকিদের ফাঁসি দিতে অসুবিধা নেই। কিন্তু, আইন বলছে যে একই মামলায় একাধিক ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের কাউকে আলাদাভাবে ফাঁসি দেওয়া যাবে না।