সংক্ষিপ্ত

সামনেই দিল্লির নির্বাচন।

তার আগে মোদী ও কেজরিওয়াল দুজনেই দুজনকে আক্রমণ করতেন।

কিন্তু এবার রাজনীতি ভুলে মোদীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন কেজরিওয়াল।

কারণ, এবার আক্রমণ এসেছিল দেশের বাইরে থেকে।

 

দিল্লির নির্বাচন ভারতের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে পাক হস্তক্ষেপ কিনি মানবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই তাঁর প্রধানমন্ত্রী। তাই প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানিদের কোনও আক্রমণও তিনি  সহ্য করবেন না। শুক্রবার, পাকিস্তানের বিতর্কিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী চৌধুরি ফাওয়াদ হুসেন-এর মন্তব্যের জবাবে এভাবেই রাজনৈতিক গণ্ডি ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।   

দিনকয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন ভারতীয় সেনা চাইলে এক সপ্তাহের মধ্যেই পাকিস্তানকে যুদ্ধে পরাজিত করতে পারে। তার জবাবে ফাওয়াদ হুসেন বলেন, ভারতের জনগণের মোদীর পাগলামীকে পরাস্ত করতে হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নির্বাচনে আরও একটা রাজ্যে হারের চাপেই তিনি 'হাস্যকর' দাবি করছেন এবং উপমহাদেশীয় অঞ্চলে বিপদ ডেকে আনার হুমকি  দিচ্ছেন বলে দাবি করেন ফাওয়াদ। কাশ্মীর, নাগরিকত্ব আইন এবং অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে চাপের মুখে মোদী মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন পাক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী।

ফাওয়াদ হুসেনের এই মন্তব্যের জবাবেই কেজরিওয়াল এদিন বলেছেন, 'নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তিনি আমারও প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির নির্বাচন ভারতের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এই বিষয়ে সন্ত্রাসবাদের বৃহত্তম সংগঠকদের হস্তক্ষেপ আমরা সহ্য করব না। পাকিস্তান যতই চেষ্টা করুক না কেন, তারা ভারতের ঐক্য ভাঙতে পারবে না'।

দিল্লির নির্বাচনে আপ দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী অবশ্যই দলের প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি থেকে তাঁর সমস্তরের কোনও নেতা না পেয়ে বিজেপি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীই দিল্লি নির্বাচনে তাঁদের মুখ। নির্বাচনের প্রচারে কেজরিওযাল ও মোদী উভয়েই উভয়ের কট্টর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু বাইরের শত্রুর উপস্থিতিতে সেই দুই যুযুধান মুখই এক জায়গায় মিলে গেল। পাকিস্তানি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতিরক্ষায় এগিয়ে এলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।