সংক্ষিপ্ত

দুর্ঘটনার জেরে বাতিল বহু ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে স্টেশনে স্টেশনে হেল্প লাইন নম্বর চালু করল রেল। দেখে নেওয়া যাক হেল্পলাইন নম্বরগুলি।

বালেশ্বর জুড়ে শুধুই হাহাকার। রেল লাইনে জমছে লাশের স্তুপ। শনিবার সকাল ১১টায় রেলের তরফে দেওয়া বিবৃতি থেকে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬১ তে। আহত প্রায় ৬৫০। ধ্বংসস্তুপের নীচে এখনও আটকে বহু মানুষ। অনেকে খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁদের প্রিয়োজনকে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার জেরে বাতিল বহু ট্রেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে স্টেশনে স্টেশনে হেল্প লাইন নম্বর চালু করল রেল। দেখে নেওয়া যাক হেল্পলাইন নম্বরগুলি।

একনজর হেল্প লাইন নম্বর

  • হাওড়া হেল্প লাইন নম্বর: 033-26382217
  • খড়গপুর হেল্প লাইন নম্বর: 8972073925 এবং 9332392339
  • বালাসোর হেল্প লাইন নম্বর: 8249591559 এবং 7978418322
  • শালিমার হেল্প লাইন নম্বর: 9903370746

শনিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পৌঁছন। এদিন তিনি বলেন,'আপাতত আমাদের প্রধান লক্ষ্য উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ সরাবরাহ। জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্রের পর পুনরুদ্ধার শুরু হবে।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,'একটি বিশদ উচ্চ-স্তরের তদন্ত পরিচালিত হবে এবং রেল নিরাপত্তা কমিশনারও একটি স্বাধীন তদন্ত করবেন।' ইতিমধ্যেই ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা সহায়তার কথা ঘোষণা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। যাঁরা এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁদের জন্য ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা সামান্য আহত হয়েছেন তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এই আর্থিক সহায়তা ঘোষণার পাশাপাশি রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। বালাসোরে পৌঁছে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন রেলমন্ত্রী। এই দুর্ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই দুর্ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন।

গতকাল করোমন্ডল এক্সপ্রেস (12841) এবং পণ্য ট্রেনের বহনাগা স্টেশনের কাছে সংঘর্ষ হয়। ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি পণ্যবাহী ট্রেনে উঠে যায়। সূত্রের মতে, মোট ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হয়েছিল এবং ৩৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল। অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রেনটি কলকাতার কাছে শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে যাওয়ার সময় সন্ধ্যা ৭.২০ মিনিটে এই দুর্ঘটনার কথা বলা হচ্ছে। এই বেদনাদায়ক দুর্ঘটনার পরে, সেই ট্রেনগুলির একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে, যেগুলি এখন হয় ডাইভার্ট বা বাতিল করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে ফেলা হচ্ছে গতকালের ওড়িশার এই ঘটনাকে। দেখে নেওয়া যাক শেষ কয়েক বছরের ভয়াবহতম রেল দুর্ঘটনা কোনগুলি।