সংক্ষিপ্ত

  •  যেকোনও মানুষই করোনা পরীক্ষা করাতে পারবেন
  • সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে না 
  • জানিয়ে দিল আইসিএমএর 
  • করোনা পরীক্ষায় নতুন নিয়ম চালু করা হল 
     

 দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে দেরিতে হলেও রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যা করোনাভাইরাস-পরীক্ষাকে আরও সহজ করবে বলেও জানান হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে,  এখন থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য আর চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন প্রয়োজন নেই। ইচ্ছে হলে বা প্রয়োজন মনে হলে  যে কোনও মানুষই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে পারবেন। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের পরই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। কারণ সম্প্রতি একটি মামলায় এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা হয়েছিল। যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল, করোনাভাইরাস রোগের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এমন মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। কিন্তু কেন তাঁদের পরীক্ষা করা হবে না। 


নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রেসক্রিপশন ছাড়াই করোনাভাইরাসের জন্য পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, পরীক্ষার জন্য প্রতিটা রাজ্য নিজস্ব একটি সহজ সরল ব্যবস্থা থাকবে। যার অর্থ হল রাজ্যগুলি আর কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য আর কোনও বিধিনিষেধ জারি করতে পারবে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্য মন্ত্রকেক এক কর্তা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি রাজ্য রয়েছে, যেখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা রীতিমত জটিল। একাধিক অনুমতি ও আবেদনের পরই মিলত ছাড়পত্র। কিন্তু এক্ষেত্রে যে কোনও মানুষই  চাইলে পরীক্ষা করাতে পারেন। সংশ্লিষ্ট রাজ্য কোনও মানুষকেই আটকাতে পারবে না নতুন নিয়ম অনুযায়ী। 

এতদিন পর্যন্ত তাঁরাই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে পারতেন যাঁদের ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন রয়েছে। জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জার মত রোগ ধরা পড়লে তবেই করোনা করা হত করোনা পরীক্ষা। কিন্তু নতুন নিয়মে করোনা পরীক্ষা অনেকটাই মুক্ত হল বলে দাবি করেছেন এক চিকিৎসক। তাঁর মতে এই নিয়ম আরও আগে থেকে চালু করা হলে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে আরও ভালো হত। নতুন নিয়মে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা  গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দিনে দশ লক্ষ মানুষের করোনা পরীক্ষার দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। 


ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন এই গাইডলাইন রীতিমত স্পষ্ট। আর এই সিদ্ধান্ত করোনা পরীক্ষাকে আরও বেশি সহজসরল করে তুলতে পারবে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আরটি পিসিআর পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। কন্টেন্টমেন্ট জোন এলাকায় ১০০ শতাংশ মানুষেরই পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তাহলেই স্ক্রিনিং করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছে আইসিএমআর।

"