সংক্ষিপ্ত
- করোনা অতিমারিতে আর্থিক বৃদ্ধির হারে ধাক্কা
- অর্থনীতির কাঠামো থর থর করে কাঁপছে
- বলতে গেলে এক গভীর সঙ্কটে দেশের অর্থ ব্যবস্থা
- একদিকে বাড়ছে বন্ধ হওয়া সংস্থার সংখ্যা, বাড়ছে বেকারি
কেন্দ্রীয় সরকার কোনওভাবেই কর্ম সঙ্কোচনের পথে হাঁটছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির যেমন যেমন ভাবে এতদিন নিয়োগ হয়ে এসেছে তা হয়ে যাবে। করোনা অতিমারিতে কোনওভাবেই থমকাবে না নিয়োগের কাজ। এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমন কথাই জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। শুক্রবার কেন্দ্রীয় ব্যয় দপ্তর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যাতে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয় করোনাভাইরাস অতিমারির জেরে সরকারে এখন থেকে ব্যয়সঙ্কোচের পথে হাঁটবে। অতিমারির জেরে অর্থনীতিতে যে দুর্দশা দেখা দিয়েছে তার মোকাবিলা করতে সবধরেনর সরকারি খরচের উপরেও নিয়ন্ত্রণ আনা হচ্ছে বলে এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে টুইটারে সরব হন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতার দাবি ছিল, ব্যয়সঙ্কোচের যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে তাতে কোপ পড়তে চলেছে সরকারি চাকুরিতে। এই টুইটের জেরে বিতর্ক তৈরি হয়। এরপরই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, ' ৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যয় সঙ্কোচ দপ্তরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি যে নতুন পদ না তৈরি করার যে কথা বলা হয়েছিল তাতে সরকারি নিয়োগে কোনও প্রভাব ফেলবে না। এমনকী, নতুন সরকারি চাকরির সুযোগকেও তা বন্ধ করবে না।'
এমনকী এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে, 'ভারত সরকারি সরকারি চাকরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। সাধারণ নিয়োগ, যেমনটা স্টাফ সিলেকশন তকমিশন, ইউপিএসসি, রেলওয়ে রিক্টুটমেন্ট বোর্ড ইত্যাদির মাধ্যমে চালু থাকবে। এখানে ব্যয় সঙ্কোচের কোনও নিয়ম লাগু হবে না।'
আরও পড়ুন- মোদীর আত্মনির্ভর ভারতকে সমর্থন জানিয়ে অক্ষয়ের নয়া পদক্ষেপ, 'PUBG'র বদলে এল 'FAU-G
সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল- অনুন্নয়ক খাতে খরচের ক্ষেত্রে সরকার কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। এর ফলে জরুরি অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলিতে অর্থের জোগান বজায় থাকবে। তবে, ব্যয় সঙ্কোচ দফতরের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে লেখা হয়েছে নতুন কোনও পদের অনুমোদন দেবে না কেন্দ্রীয় সরকার। পদের অনুমোদন পেতে গেলে ব্যয় সঙ্কোচ দপ্তরের অনুমতি লাগবে।
আরও পড়ুন- ''কিল নরেন্দ্র মোদী'', এনআইএ-র হাতে আসা গোপন ই-মেলে ফাঁস প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক
টুইটারে হিন্দিতে লিখে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, 'মোদী সরকার মনে করে মিনিমাম সরকার এবং ম্যাক্সিমাম বেসরকারিকরণ। কোভিড শুধুমাত্র একটা বাহানা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এমনই দাবি করেছে রাহুল। এপ্রিল-জুন পিরিয়ডে রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ২৩.৯ শতাংশ।' অর্থনীতিবিদরা যা আশা করেছিলেন তার থেকেও খারাপ হয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির হার। এরমধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ব্যয় সঙ্কোচ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি চিন্তা বাড়িয়েছিল চাকুরিপ্রার্থীদের। সন্দেহ নেই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক যেভাবে সরকারি চাকরির নিয়োগের উপরে বিধিনিষেধ না থাকাার কথা জানিয়েছে তাতে চাকুরিপ্রার্থীদের ভরসা খানিকটা হলেও ফিরবে।
দেখুন ভিডিও স্টোরি- পিপিই কিট পরে নাচ চিকিৎসকের, ক্লিক করুন নিচের আইকনে-
"