সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় স্বস্তি 
  • পাঁচ মাসে সবথেকে কম আক্রান্ত 
  • বেড়েছে সুস্থতার হার 
  • আক্রান্তের তালিয়ার প্রথমে মহারাষ্ট্র 

শীতের আগে কি মিলবে করোনা মুক্তি? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরিসংখ্যন তেমনই জল্পনা উস্কে দিল। কারণ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশে আক্রান্ত হয়েছেন, ২২ হাজার ৬৫ জন। যা গত পাঁচ মাসের নিরিখে সবথেকে কম। বর্তমানে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ হাজার ১৬৫। স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্তে এই দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, ১ লক্ষ ৪৩ হাজার, ৭০৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫৪ জনের। 

বর্তমান পরিসংখ্যানে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই বেশি। আর তাই নিয়ে আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ৩৪ হাজারের বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট সুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ৯৪ লক্ষেরও বেশি। দেশে অ্যাক্টিভকেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮২০। বেশ কয়েক সংস্থা তাদের টিকা জরুরি ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। চলতি মাসেই হয়তো দেশে টিকার ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তার আগেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমায় অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। 

আক্রান্তের সংখ্যায় এখনও পর্যন্ত প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। পরবর্তী চারটি রাজ্য হল কর্ণাটাক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু আর কেরালা। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতেও আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা স্বস্তি দায়ক। তবে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার করোনা টিকাকরণের নীল নকসা তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে প্রতিদিন প্রতিটি সাইটে নূন্যতম ১০০ জনকে টিকা দিতে হবে। সেখানে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে টিকাকরণের জায়গায় যদি  পর্যাপ্ত জায়গা থাকে তাহলে প্রয়োজনে একদিনে ২০০ মানুষকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা কারা যেতে পারে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। টিকা দেওয়ার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন আধিকারিকের একটি দল তৈরি করতে হবে বলেও জানান হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার টিকা বিলির জন্য কোল্ড চেইনের ব্য়বস্থা করতে শুরু করেছে। আগামী বছর গোড়া দিকেই টিকাকরণ শুরু হতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে।