সংক্ষিপ্ত
- ফেব্রুয়ারিতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন আসতে পারে
- ইঙ্গিত দিয়েছেন আইসিএমআরএর বিজ্ঞানী
- সেরামের কর্ণধার আদার পুনেওয়ালা আরও সুখবর দিলেন
- জানুয়ারি মাসেই বাজারে আসতে পারে কোভিশিল্ড
আগামী বছরেই রুখে দেওয়া যাবে করোনাভাইরাসের মহামারি। তেমনই আশা দেখাচ্ছে প্রতিষেধকগুলি। কারণ বৃহস্পতিবারই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের তরফে জানান হয়েছে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। আর শুক্রবারই সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদার পুনেওয়ালা জানিয়েছেন দেশীয় সংস্থাগুলির প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়া গেলে আগামী বছর জানুয়ারির মধ্যেই ভারত করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হাতে পাবে। এখন থেকেই অ্যাস্ট্রোজেনেকা জানিয়ে তাদের সংস্থার বিকাশ করা প্রতিষেধক হিমায়িত আকারে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ডের যৌথ উদ্যোগে বিকাশ করা হচ্ছে একটি প্রতিষেধক। ইতিমধ্য়েই প্রতিষেধকটির তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। ইউরোপের দেশগুলির পাশাপাশি ভারতেও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ব্রিটেনের অ্যাস্টোজেনেকা জানিয়েছে, প্রতিষেধকের দৌড়ে তারা একটু ধীর গতি অবলম্বন করছে। কিন্তু গোটা বিশ্বে দ্রুততার সঙ্গে প্রতিষেধক সরবরাহের দিকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর সেই কারণেই একাধিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও করেছে সংস্থাটি। ভারতের প্রতেষেধক নির্মাতা সংস্থার সেরাম ইনস্টটিউটের সঙ্গে অনেক আগেই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে অ্যাস্ট্রোজেনেকা। সেরামের কর্ণধার আদার পুনেওয়ালা জানিয়েছেন, অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ডের বিকাশ করা প্রতিষেধক, সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত যা যা তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে এটির কার্যকারিতা যথেষ্ট। কোভিশিল্ড নিয়ে এখনও পর্যন্ত উদ্বেগের কোনও কারণ দেখা যায়নি। তাই সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর প্রথম দিকে প্রতিষেধকটি বাজারজাত করার সম্ভাবনা প্রবল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গোটা বিশ্বে প্রায় ৪৫টি প্রতিষেক বিকাশের কাজ চলছে। অধিকাংশ করোনা প্রতিষেধকের মানব ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ফাইজার ইনক জানিয়েছে মার্কিন অনুমোদনের জন্য নভেম্বরের শেষ দিকে আবেদন করা হবে। সমস্ত অনুমোদন পাওয়া গেলে চলতি বছর ডিসেম্বরেই করোনার প্রতিষেধক মার্কিন বাজারে আসতে পারে।
অন্যদিকে আগেই রাশিয়া তাদের তৈরি প্রতিষেধক সাধারণ নাগরিকের মধ্যে প্রয়োগ করেছে। রাশিয়ার তৈরি সেই প্রতিষেধক ব্যবহার করছে হাঙ্গেরি। দেশটির সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে স্পুটিনিক ভি প্রতিষেধক আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। হাঙ্গেরির একটি সংস্থা এই প্রতিষেধক তৈরির বিষয়েও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া ব্রাজিল আর আর্জেন্তিনাকে প্রতিষেধকটি সরবরাহ করার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে।