সংক্ষিপ্ত

  • কাশ্মীরে জঙ্গি সক্রিয়তা কি আদৌ কমেছে
  • সম্প্রতি সেখানে গ্রেফতার হয় সমীর দার
  • ধৃত সমীর  পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গির ভাই
  • জেরায় সে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনে

পুলওয়ামার সেই আত্মঘাতী বোমারুকে মনে পড়ে? যে হামলায় নিহত হয়েছিলেন সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান। সেই আত্মঘাতী জইশ-ই-মহম্মদ সদস্য় আদিল আহমেদ দারের তুতো-ভাই  সমীর দার ডিসেম্বরে   জইশ জঙ্গিদের নিরাপদে কাশ্মীরে নিয়ে এসেছিল বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর।  সম্প্রতি ধরা পড়ে সমীর। তারপর গোয়েন্দারা তাকে জেরা করলে সে স্বীকার করে যে, ডিসেম্বরে সে  একদল জইশ জঙ্গিকে সীমান্ত পার করে এদেশে নিয়ে আসে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ জওয়ানদের একটি কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায়  আত্মঘাতী জঙ্গি আদিল দার। পুলওয়ামায় এই হামলায় নিহত হন প্রায় ৪০জন জঙ্গি। হামলায় নিহত হয় আদিল নিজেও। জইশ-ই-মহম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে। যদিও পাকিস্তান এই হামলার নিন্দে করে জানায়, তাদের সঙ্গে এই হামলার কোনও সম্পর্ক নেই। পুলওয়ামার কাকপোরা থেকে সমীর গ্রেফতার হওয়ার জানা গেল, এর পরেও জঙ্গি তৎপরতা বিন্দুমাত্র কমেনি। শুধু জইশ জঙ্গিদের একটি দলকেই নয়, সেইসঙ্গে বেশ কিছু অস্ত্রসস্ত্রও সীমান্ত পেরিয়ে নিয়ে আসা হয়।

এদিকে গত বছর অগস্ট মাসে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করা হয়। তারপর থেকে পরিস্থিতি পাল্টায় উপত্য়কার। নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয় উপত্য়াকাকে। ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় যাতে করে জঙ্গি যোগ কমে উপত্য়কার সঙ্গে। যদিও তাতে জঙ্গি তৎপরতা কতটা কমেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। কারণ, গোয়েন্দাদের কাছে মাঝেমধ্য়ে সীমান্ত জঙ্গি সক্রিয়তার খবর পাওয়া গিয়েছে।