ভারতে শিখর ছুঁতে এখনও অনেক দেরি রয়েছে করোনারমঙ্গলবার এমনই জানালেন আইসিএমআর বিশেষজ্ঞএরমধ্য়ে আনলক-১'এর সিদ্ধান্ত কি ঠিককী জানাচ্ছেন ভারতের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা 

ভারতে শিখর ছুঁতে এখনও অনেক দেরি রয়েছে করোনার। মঙ্গলবার আইসিএমআর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ-এর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিবেদিতা গুপ্তা সাফ জানালেন 'আমরা কোভিড-১৯'এর শীর্ষ থেকে অনেক দূরে'। তারমধ্য়েই আনলক-১'এর সিদ্ধান্ত কি ঠিক হল, অনেকেই সেই প্রশ্ন করছেন।

তবে এখনও ভারতে 'গোষ্ঠী সংক্রমণ' শুরু হয়নি বলেই দাবি করেন তিনি। বলেন 'গোষ্ঠী সংক্রমণ' শব্দটি ব্যবহার করার বদলে আমাদের রোগের বিস্তার কতটা হয়েছে তা বুঝতে হবে। এরপরই তিনি বলেন 'আমরা শীর্ষ থেকে অনেক দূরে'। তবে ডাক্তার নিবেদিতা গুপ্তা একইসঙ্গে কোভিড--১৯ রোগের বিস্তার রোধে ভারতের নেওয়া ব্যবস্থাগুলি কার্যকর হয়েছে এবং মৃত্যুর হার কমাতে দারুণ কার্যকরী হয়েছে বলে আশ্বস্ত করেছেন।

Scroll to load tweet…

ভারতের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় ভাইরাস বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলেও এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটা ভাইরাস-এর স্বাভাবিক পথ। ডাক্তার জয়প্রকাশ মুলিয়িল বলেছেন, এভাবেই আক্রান্তের সংখ্য়া বাড়তে বাড়তে একসময় আর রোগীর সংখ্যা বাড়বে না, এবং তারপর কমতে কমতে একদিন আর গ্রাহ্যের মধ্যেই ধরতে হবে না সংখ্যাটা। তিনি জানিয়েছেন আনলকের সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক। তবে বয়স্ক, শিশু, ও অসুস্খ - অর্থাৎ যাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি, তাদের ঘরে থাকার পরামর্শই দিয়েছেন তিনি। ডাক্তার মুলিয়িল অবশ্য প্রথম থেকেই লকডাউনের বিরোধী ছিলেন।

Scroll to load tweet…

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লব আগরওয়াল জানান, ভারতে কোভিড-১৯ এর মৃত্যুর হার ২.৮২ শতাংশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে এটা অনেকটাই কম। তিনি আরও জানান, ভারতে মোট কোভিড-১৯'জনিত মৃত্য়ুর ৭৩ শতাংশই কোমরবিডির শিকার, অর্থাৎ তাদের অন্য রোগ ছিল। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন দেশে ৯৫,৫২৭ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। সুস্থ হওয়ার হার এখন ৪৮.০৭ শতাংশ। আর এই মুহূর্তে ভারতের কোভিড পরীক্ষা করার ক্ষমতা আরও বেড়েছে, এখন প্রতিদিন ১ লক্ষ ২০ হাজার পরীক্ষা হচ্ছে।