সংক্ষিপ্ত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, কোভিড-১৯ একটি বহুরূপী ভাইরাস। এটি সর্বদাই রূপ পরিবর্তন করছে। তাই কেউই জানে না এটি কখন পুনরুত্থিত হবে।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার বলেছেন, করোনাভাইরাস এখনও চলে যায়নি। এটি যেকোনও সময় পুনরুত্থিত হতে পারে। মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে এখনই হাল না ছাড়ার পরামর্শই দিয়েছেন তিনি। গুজরাটের জুনাগড় জেলার উমিয়া ধামের একটি ইভেন্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি কোভিড-১৯এর সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক করেন। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, কোভিড-১৯ একটি বহুরূপী ভাইরাস। এটি সর্বদাই রূপ পরিবর্তন করছে। তাই কেউই জানে না এটি কখন পুনরুত্থিত হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন এই দেশের জনগণের সাহায্যে এখনও পর্যন্ত ১৮৫ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন করোনা-মহামারি একটি বড় সংকট ছিল। কিন্তু এখনও জোর গলায় বলা যাবে না এই সংকট শেষ হয়েছে। মোদী বলেন বলা ভালো এটি বিরতি নিয়েছে। তিনি আরও বলেন এখনও পর্যন্ত কেউই জানে না কখন আবার করোনাভাইরাস দেখা যাবে। তিনি বলেন ভারতের টিকা কর্মসূচি বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন চাষের কাজে ব্যবহৃত রাসায়নিকের ক্ষতির কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গুজরাটের সব কৃষকদের প্রাকৃতিক চাষের জন্য এগিয়ে আসা জরুরি। তিনি আরও বলেন, রাসায়নিকের ব্যবহার কমালে তবেই রক্ষা পাবে  পৃথিবী। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশ ৭৫তম স্বাধীনতা পালন করছে। যা আজাদি কা অমৃত মহোৎসব নামে পরিচিত। সেই কারণে দেশের ৭৫টি জেলায় অমৃত সরবোর তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে শিথিল করা হয়েছে বিধিনিষেধ। তুলে নেওয়া হয়েছে মহামারি সংক্রান্ত বিশেষ আইন। তুলে নেওয়া হয়েছে রাত্রিকালিন কার্ফু। এই অবস্থায় নতুন নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা দেশের মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে আহ্বান জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে সম্প্রতি গুজরাটেই সনান্ত হয়েছে করোনার নতুন বংশধর এক্সই। এটি দ্রুত সংক্রমণ যোগ্য বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে এটি ইংল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। যা নিয়ে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ১০ এপ্রিল থেকে প্রাপ্ত বসয়েরদের জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত যাতে মানুষ বুস্টার ডোজ নিতে পারে তারজন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থার দরজাও। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সেরাম ইনস্টিটিউ ও ভারত বায়োটেক করোনা ভ্যাক্সিনের ডোজ প্রতি দাম অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। বেসরকারি সংস্থায় এই টিকা নিতে ডোজ প্রতি খরচ হবে মাত্র ২২৫ টাকা।