সংক্ষিপ্ত
- ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনা পরিস্থিতি
- মহারাষ্ট্রের অবস্থা দেশের মধ্যে সবথেকে উদ্বেগজনক
- এই পরিস্থিতিতিতে ওষুধের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে রাজ্য জুড়ে
- ওষুধ না মেলায়া এবার গুরুতর অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী
দেশ জুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হচ্ছে। চিকিৎসার জন্য ঘাটতি দেখা দিচ্ছে রেমডেসিভির মত অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে গুরুতর অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী এনসসিপি নেতা নবাব মালিক। তার অভিযোগ, রেমডেসিভি উৎপাদনকারী বেসরকারি ১৬টি সংস্থাকে মহারাষ্ট্রে ওষুধ বিক্রি করতে।
সোশ্য়াল মিডিয়ায় একাধিক ট্যুইট করে নবাব মালিক জানান,'অবাক করা বিষয় মহারাষ্ট্র সরকার যখন রেমডেসিভির জন্য ১৬টি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির কাছে জিজ্ঞস করেছিল, তখন আমাদের জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে এই রাজ্যে ওষুধ সরবরাহ না করার জন্য বলা হয়েছে। এই সংস্থাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে যে তারা যদি ওষুধ সরবরাহ করে তবে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।' এছাড়াও নবাব মালিক বলেন, 'এটি খুব বিপজ্জনক নজির। ই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে এই রফতানিকারকদের কাছ থেকে রেমডেসিভির স্টক বাজেয়াপ্ত করা এবং অভাবীদের সরবরাহ করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না'।
আগামি ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে ১২ থেকে ১৫ হাজার রেমডেসিভির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। নবাব মালিকের পাশাপাশি রাজ্যের এফডিএ মন্ত্রী ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন, ১৫ আগে রেমডে সিভির উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির প্রধানরা রাজ্যকে আশ্বাস দিয়েছিল যে তারা প্রায় ৫৫ হাজার ডোজ সরবরাহ করবে। কিন্তু ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৭ তেকে ৩৯ হাজার ডোজ দিয়েছে। ফলে করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীদের ওষুধ সরাবরাহ নিয়ে অভযোগের কারণে তৈরি হয়েছ নয়া বিতর্ক।