সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাসে ছায়া এবার গর্ভধরনেও 
সুইডেনে প্রবল অভাব শুক্রাণুর 
স্পার্ম ডোনাররা এড়িয়ে যাচ্ছে ক্লিনিক 
বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে শুক্রাণু 
 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে রীতিমত সমস্যায় পড়েছে সুইডেনের বেশ কয়েকটি ক্লিনিক। মহামারির কারণে হাসপাতাল বা ক্লিনিক এড়িয়ে চলছে সেদেশের স্পার্ম ডোনাররা। আর সেই কারণেই রীতিমত অভাব দেখা দিয়েছে সহায়ক গর্ভধরণের জন্য শুক্রাণুর। মহামারির প্রাদুর্ভাব  চলছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। তাই দীর্ঘসময় ধরেই হাসপাতাল বা ক্লিনিক মুখো হচ্ছে না স্পার্ম ডোনাররা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদেশ থেকে আনা হচ্ছে শুক্রাণু। কিন্তু তাতেও খরচ পড়ছে আকাশ ছোঁয়া। 

গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজনন ইউনিটের প্রধান আন থুরিন কেজেলবার্গা জানিয়েছে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরেই শুক্রাণু দাতারা আসছেন না। এত কম দাতা তিনি কখনও দেখেননি বলেও জানিয়েছেন। আর সেই কারণেই গত ৬-৩০ মাস ধরেই সহায়ক গর্ভধারণের সংখ্যা কমেছে। সুইডেনের এক গণিত শিক্ষক এলিন বার্গস্টেউ বলেছেন এটা খুবই চাপের যে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলি কোনও সুস্পষ্ট সময় বা তারিখ দিচ্ছে না। দুবছর আগেই তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন যে স্বাভাবিকভাবে তাঁরা বাবা মা হতে পারবেন না। আর সেই কারণেই সহায়ক গর্ভধারণের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রাণুর অভাব তাঁদের চিকিৎসার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

পরবর্তী দলাই লামা কে ও কী ভাবে হবে নির্বাচন, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু চিন-ভারত-আমেরিকার মধ্যে

সুইডেনের এক স্বাস্থ্য কর্মী জানিয়েছেন শুক্রাণুর প্রবল এই সংকটের সময়ে দেশের  বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লিনিক বিদেশ থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করে আনছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সহায়ক গর্ভ ধারণ ও চিকিৎসার জন্য খরচের অঙ্ক আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে। যা অনেক নাগরিকেরই সাধ্যের বাইরে। বিদেশ থেকে আনা শুক্রাণুতে গর্ভধারনের খরচ পড়েছে ১১.৭৮৫ মার্কিন ডলার। 

করোনাভাইরাসের প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গের মধ্যে পার্থক্য, জেনে নিন সংক্রমণ রুখোর সহজ উপায় ...

সুইডেনের নিয়ম অনুযায়ী একটি শুক্রাণুর নমুনা কেবল মাত্র ৬ জন মহিলাই ব্যবহার করতে পারে। সুইডেনমে সর্বাধিক দান করা শুক্রাণু এই আইনী সক্ষমতায় পৌঁছেছে। এর অর্থ হল অনেক সহায়ক গর্ভাবস্থা কেবলমাত্র সেই মহিলার ক্ষেত্রেই পাওয়া যায় যার আগে কোনও নির্দিষ্ট বীর্যপাতের নমুনা ব্যবহার করা হয়েছে। সুইডেনের বৃহত্তম ক্লিনিকের পক্ষ থেকে জানান গয়েছে গোটা প্রক্রিয়াটাই খুব জটিল। দাতাকে একাধিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। যার জন্য প্রায় চার মাস সময়  লাগে। সাধারণ সমস্যার কারণেই অনেক নমুনা কার্যকর অনুদান হতে ব্যর্থ  যখন যা সংরক্ষণ করা হয়। ৫০ জন পুরুষের মধ্যে অর্ধকই দাতা হিসেবে গ্রহণ যোগ্য হয়। 

ভারতে কত দিন স্থায়ী হবে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ, আরও কী ভয়ঙ্কর হবে মহামারি ...