সংক্ষিপ্ত
কারা আগে পাবে ভ্যাকসিন। সব শিশুকে একসঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না।
১২ বছর বয়েসের ওপর থেকে ১৮বছরের আগে পর্যন্ত বয়েসীদের (vaccination for children) টিকাকরণ (COVID-19 vaccination drive) শুরু হতে চলেছে (vaccination for children to begin soon)। কিন্তু কারা আগে পাবে ভ্যাকসিন(who will be prioritized)। সব শিশুকে একসঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। গ্রুপ করে চাহিদা বুঝে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তাহলে কারা আগে ভ্যাকসিন পাবে, সেই তালিকা দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্র জানিয়েছে চাহিদা বা প্রায়োরিটি বুঝে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বৃহস্পতিবার বলেন, জাইডাস ক্যাডিলার(Zydua Cadila) কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনকে খুব তাড়াতাড়ি জাতীয় টিকা কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল সায়েন্সের পক্ষ থেকে স্কুল খোলার ওপর জোর দেওযা হয়েছে। তাই এই টিকা যদি দ্রুত দেশের শিশুদের মধ্যে দেওয়া শুরু করা যায়, তাহলে করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমবে বলেও আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপ (National Immunization Technical Advisory Group) বা এনটিএজিআই(NTAGI)-এর চেয়ারপার্সন এন কে অরোরা (NK Arora.) বলেন শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে প্রায়োরিটি বুঝে। অর্থাৎ যে শিশুর কোমর্বিডিটি রয়েছে, তারা ভ্যাকসিন আগে পাবে। গুরুতর অসুস্থ শিসুদের আগে টিকা দেওয়া হবে, তারপর ধীরে ধীরে অপেক্ষাকৃত বেশি সুস্থ ও সম্পূর্ণ সুস্থ শিশুদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, আমেদাবাদের সংস্থার তৈরি জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি কোভিড টিকা জাইকভ-ডি(ZyCov-D), দেশের প্রথম টিকা যেদি ১২-১৮ বছর বয়সের জন্য জরুরিভিত্তিতে ব্যবহার করা যাবে। এটি তিন ডোজের টিকা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন জাইকোভ - ডি টিকাটির দাম ঠিক করার জন্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে। ভ্যাকসিনটি প্লাজমিড ডিএনএ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। টিকার তিনটি ডোজের প্রতিটির মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধান থাকা জরুরি।
এর আগে অগাস্টে, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের শিশুদের জরুরী ব্যবহারের জন্য জাইডাস ক্যাডিলার ডিএনএ ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছিল। এখন, জাতীয় টিকা কর্মসূচিতে টিকাগুলি চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। জুন মাসে, WHO-AIIMS একটি যৌথ সমীক্ষায় জানতে পেরেছিল যে ১৮ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে সেরোপ্রেভ্যালেন্স ৫৫.৭ শতাংশ এবং ১৮ বছর এবং তার বেশি বয়সে ৬৩.৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত দেশে ২২ শতাংশ মানুষকে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ টিকার একটি করে ডোজ পেয়েছেন। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল জানিয়েছেন জাইডাস ক্যাডিলা ব্যবহার করলে টিকা প্রদানে আরও গতি আসবে। এখন টিকাটি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।