সংক্ষিপ্ত
এই মুহূর্তে কোনও আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত সরকারের নেই বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন চিন থেকে ভারতের সরাসরি কোনও বিমান নেই। ভাইরাস সক্রমণ রুখতে সরকার প্রচেষ্ট।
বড়দিনের মুখেই ফের কোভিড আতঙ্ক দেশে। চিনে করোনার বারবারন্ত দেখে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানের যাত্রীদের কোভিড টেস্ট করা শুরু হয়েছে। দেশের কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠকেরও ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রূ নরেন্দ্র মোদী। কোভিড মোকাবিলায় তৎপর রাজ্যগুলিও। ইতিমধ্যেই দেশের ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ৪ জনের হদিশ মিলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া আজ বলেছেন দুই শতাংশ যাত্রীকে নমুনা দিতে হবে। তাঁদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে। এদের মধ্যে কেউ কোভিড পজিটিভ এলে তাঁদের চিকিৎসার বিষয়ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই মুহূর্তে কোনও আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ বা বাতিল করার সিদ্ধান্ত সরকারের নেই বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন চিন থেকে ভারতের সরাসরি কোনও বিমান নেই। ভাইরাস সক্রমণ রুখতে সরকার প্রচেষ্ট।
করোনা সংক্রমণ রুখতে এখনও সরকারিভাবে কোনও বিধি নিষেধ জারি করা হয়নি তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া জানিয়েছেন চিনের সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে রাজ্যগুলিকে মাস্ক পরা ও অন্যান্য বিধিনিষেধ মানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারউপর সামনেই বড়দিন। এই সময় জমায়েত হওয়ার বিশেষ সম্ভাবনা থাকে তাই এদিন লোকসভায় রাজ্যগুলিকে শারীরিক দূরত্ববিধি, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ইত্যাদি বিষয়গুলির দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশে নতুন করে ৪টি ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে গুজরাত ও ওড়িশায় দু'টি বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টেরও হদিশ মিলেছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে গুজরাত স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল অক্টোবর নভেম্বরে বেশ কিছুজন ওমিক্রনের বিএফ.৭ ও বিএফ.১২-এ আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় হোম আইসোলেশনে রেখে তাদের চিকিৎসা করায় তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ফের বিএফ.৭ সাব ভ্যারয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মেলে গুজরাতে। এবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠকের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, প্রায় তিন বছর পর শূন্যে নেমেছিল রাজ্যের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু তারপরই আবারও উদ্বগ বাড়াল রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। মঙ্গলবারই রাজ্যে সাত জন কোভিড আক্রান্তের হদিশ মেলে। একজনের মৃত্যুও হয়। চিনে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। এই মত পরিস্থিতিতে শীঘ্রই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে পারে নজরদারি কোমিটি। সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন করে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধির ওপর জোর দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। ভবিষ্যতে কী কী নির্দেশিকা জারি করা যেতে পারে তা নিয়ে নজরদারি কমিটির বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন -
ফের কোভিড ১৯ আতঙ্কের গ্রাসে বিশ্ব, আজ জরুরি বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী