সংক্ষিপ্ত
প্রায় তিন বছর পর শূন্যে নেমেছিল রাজ্যের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবারই রাজ্যে সাত জন কোভিড আক্রান্তের হদিশ মেলে। একজনের মৃত্যুও হয়। চিনে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা।
একদিকে চিনে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। অন্যদিকে উদ্বেগের মাঝেই রাজ্যে গঙ্গাসাগর মেলা বড়দিনের মতো উৎসব দোড় গোড়ায়। ২১ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ক্রিসমাস উৎসব। কোভিড আতঙ্কের মাঝে এই বিশাল জমায়েতের সম্ভাবনা উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে। কোভিড সংক্রমণ নিয়ে আগেই সতর্ক হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আতঙ্কের আবহে এবার নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকারও। বুধবার কোভিড সচেতনতায় একটি কমিটি গঠনে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমত নজরদারি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ওই কমিটির মাথায় রয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর করোনা চিকিৎসার অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কোভিড বিশেষজ্ঞদের এই কমিটিতে রাখা হবে।
প্রায় তিন বছর পর শূন্যে নেমেছিল রাজ্যের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু তারপরই আবারও উদ্বগ বাড়াল রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। মঙ্গলবারই রাজ্যে সাত জন কোভিড আক্রান্তের হদিশ মেলে। একজনের মৃত্যুও হয়। চিনে কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। এই মত পরিস্থিতিতে শীঘ্রই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে পারে নজরদারি কোমিটি। সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে নতুন করে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধির ওপর জোর দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। ভবিষ্যতে কী কী নির্দেশিকা জারি করা যেতে পারে তা নিয়ে নজরদারি কমিটির বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির জন্য নবান্নর সভাঘরে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই রাজ্যের কোভিড পরিস্থির দিকে নজর রাখারা কথা বলেছেন তিনি। এদিন বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'চিনে যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে, আমাদের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলব বিষয়টার দিকে একটু নজর রাখতে। যারা এই রোগ সম্পর্কে বোঝেন তাঁদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করুন। ওই দলকে নেতৃত্ব দেবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব। থাকবেন ডিএম, ডিএইচএসও।'
আরও পড়ুন -
চিন-আমেরিকায় ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে করোনা, রাজ্যগুলিকে জরুরি চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক