ভারতে শুরু হয়ে গেল কোভিড টিকাকরণতবে টিকার সুরক্ষা নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে সংশয়প্রথমদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেন প্রথমে টিকা নিলেন না, উঠছে সেই প্রশ্নকী বললেন ডক্তার হর্ষ বর্ধন 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে শুরু হল ভারতের করোনা টিকাকরণ অভিযান। প্রথমদিন সরকারের লক্ষ্য ছিল ৩ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া। কিন্তু, প্রথম দিন ১,৯১,১৮১ জনকেই ভ্যাকসিন দেওয়া গিয়েছে। প্রথমদিনই টিকা পাওয়ার তালিকায় নাম থাকা অনেকেই এদিন টিকা নেননি। কেউ কেউ আসতে পারেননি, অনেকে আবার টিকা নিতে ভয় পেয়েছেন। এই অবস্থায়, মন্ত্রিসভার কেউ বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার হর্ষ বর্ধন কেন প্রথমে টিকা নিলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যায় যাবতীয় বিতর্ক উড়িয়ে এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে যখন টিকা দেওয়া হবে তখনই তিনি ভ্যাকসিন নেবেন। ডাক্তার হয়েও তিনি নিজেকে স্বাস্থ্য় পরিষেবা কর্মীদের প্রথম অগ্রাধিকার গোষ্ঠীতে নন, ৫০-ঊর্ধ্ব বয়সীদের দ্বিতীয় অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছেন। তিনি আরও বলেছেন, সাংসদ বা বিধায়করা যদি প্রথমে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন, তবে সাধারণ মানুষের ধারণা হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রথমে নিজেদেরকে সুরক্ষিত করে নিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এদিন সকালে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার সূচনার সময় তাঁর ভাষণে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মীদেরই যেন টিকা দেওয়া হয়, সএই বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Scroll to load tweet…

তবে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর মতো যে সকলেই ভাবছেন, তা নয়। টিকাকরণের প্রথম দিনই স্রেফ ডাক্তারি লাইসেন্স থাকার সুযোগ নিয়ে কোভিড ভ্য়াকসিন নিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের বিজেপি সাংসদ মহেশ শর্মা। রোগী কল্যান সমিতির সদস্য হিসাবে কোভিড টিকা নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বর্তমান বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল ও রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্য়ায় এবং প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা-ও। অন্যান্য রাজ্যেও, আইনপ্রণেতারা এই ধরণের কোভিড টিকাকরণ বিধির ফাঁকের সুযোগ নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।