সংক্ষিপ্ত

ভারতের কোভিড ভ্যাকসিনের আঁতুড়ঘরে আগুন

তবে নিরাপদেই আছে কোভিশিল্ডের ভান্ডার

ক্ষতিগ্রস্ত বিসিজি ভ্যাকসিন বলে শোনা যাচ্ছে

তা হলেও ভারতের জন্য বড় ধাক্কা

নিরাপদে আছে কোভিড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। গত ২ জানুয়ারি, দেশে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল দুটি কোভিড ভ্যাকসিন-কে। প্রথমটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন অপরটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিকশিত এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড। সেই সিরামের কারখানাতেই বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। কিন্তু, কোভিড ভ্যাকসিন নিরাপদেই আছে বলে জানা গিয়েছে।

বস্তুত, পুনেতে সেরাম ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসটি বিশাল। এদিন যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে, সেখানে কোভিডের টিকা ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী সেরাম-এর পুরোনো ভবনেই কোভিশিল্ড মজুত রাখা হয়েছে। তার থেকে এক-দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি নতুন নির্মিয়মাণ ভবনে এদিন আগুন লাগে। সেখানে কোভিড টিকা না থাকলেও বিসিজি ভ্যাকসিন রাখা ছিল বলে জানা গিয়েছে।

কোভিড টিকা সুরক্ষিত থাকলেও, বিসিজি ভ্যাকসিন-এর মজুত ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা ভারত ও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই বিসিজি ভ্যাকসিনের জন্য সিরাম ইনস্টিটিউটের সরবরাহের উপরই নির্ভরশীল। তবে মজুত থাকা টিকার কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও জানানো হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ওই ভবনে ওষুধ তৈরির কোনও কাজ চলছিল না। যন্ত্রাদি লাগানোর কাজ চলছিল। উৎপাদন শুরু হয়নি।  

আরও পড়ুন - ভারতের কোভিড টিকার আঁতুড়ঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ধোঁয়ার গ্রাসে সিরাম ইনস্টিটিউটে

আগুন প্রথমে ভবনটির দ্বিতীয় তলে লেগেছিল। দ্রুত তা ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে ঘটনাস্থল এসেছিল ৪টি দমকলের ইঞ্জিন, পরে আরও ১০টি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। তবে আগুন অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেই সর্বশেষ খবর পাওয়া গিয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য জল কামানও ব্যবহার করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এসেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার কর্মীরাও। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।