সংক্ষিপ্ত
কেরলে সিপিএম সরকারের তীব্র সমালোচনায় সিপিআই। অখিলার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের প্রতিবাদ জানালেন সি দিবাকরণ।
এশিয়ানেট নিউজের চিফ রিপোর্টার অখিলা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সিপিআই নেতা সি দিবাকরণ। তিনি এজাতীয় পদক্ষেপের জন্য কেরল সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন। সি দিবাকর রবিবার স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি এখনও বুঝতে পারছেন না অখিলা কী ভূল রিপোর্টিং করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়টি উপযুক্ত ফোরামে নিয়ে যাবেন বলেএ জানিয়েছেন। মহারাজা কলেজের মার্কলিস্ট বিতর্কে সংবাদ পরিবেশনের জন্য যড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় এশিয়ানেট নিউজের চিফ রিপোর্টার অখিলা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে কেরলা পুলিশ মামলা দায়ের করেছে।
সি দিবাকরণের বক্তব্য
সিপিআই নেতা দিবাকরণ সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদর এমভি গোবিন্দনের মন্তব্যেরও তীহ্র সমালচনা করেছেন। বলেছেন কী পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্য এসেছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না। কিন্তু তাদের এটা করা উচিৎ নয়। এমভি হোবিন্দন বলেন এসএফআই বিরোধী অভিযান শুরু হলে মামলা চলতেই থাকবে।
মহারাজা কলেজ মামলা-
গোবিন্দন এশিয়ানেট নিউজের রিপোর্টার অখিলা নন্দকুমার এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে। কেরল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (কেএসইউ) অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা তাদের চ্যানেলে লাইভ রিপোর্ট করেছিলেন। কেরল পুলিশ মহারাজার কলেজ এরনাকুলামের প্রাক্তন সমন্বয়কারী বিনোদ কুমার, কলেজের অধ্যক্ষ ভিএস জয়, কেএসইউ রাজ্য সভাপতি অ্যালোসিয়াস জেভিয়ার, ফাজিল সিএ এবং এশিয়ানেট নিউজের চিফ রিপোর্টার অখিলা নন্দকুমারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক পিএম আরশোর অভিযোগে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি, মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও কেরল পুলিশ আইনে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র দুই SFI নেতা কেলেঙ্কারিতে জড়়িয়ে পড়া পরে ট্রোলের সুনামিতে ডুবে গেছে। SFI নেতা আরশো, মহারাজা কলেজের এনার্কুলাম ক্যাম্পাসের একজন বিশিষ্ট মুখ। কিন্তু তিনি কোনও পরীক্ষা না দিয়েই পাশ করেছে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর সহকর্মী আরও একধাপ এগিয়ে- তিনি মহারাজা কলেজের জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে দুই বছর দুই কলেজে গেস্ট লেকচালার হিসেবে কাজ করেছেন। মহারাজা কলেজ কেরলে এসএফআই-এর মূল ঘাঁটি। কলেজ অধ্যক্ষ প্রথমে বলেন, আরশো ঘটনা নিয়ে কারসাজি করেছে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি দুবার তাঁর বক্তব্য পাল্টে SFI নেতাকে ক্লিনচিট দিয়েছেন। কিন্তু নথি জালিয়াতির অভিযোগে বিদ্যার বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তবে কেরলের সিপিএম এই ভণ্ডামি থেকে শিক্ষা নিয়েছে। পার্ট কমরেডদের অফিস অধিকারিক হওয়ার জন্য একটি হয়সসীমা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত বিয়েছে। বর্তনাবে এমনকি তাদের বিশের দশকের শেষের দিকের লোকদেরও পরীক্ষা করা হচ্ছে। তরুণ কমরেডরা নেতৃত্বের পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে তাদের বয়সের প্রমাণপত্র দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে।