সংক্ষিপ্ত

এক সিনিয়ার সিআরপিএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'আমরা ৩২ জন মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে গঠিত মহিলা কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ ভিভিআইপি নিরাপত্তায় প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

দেশের ভিভিআইপি-দের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নয়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয়  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্সের (CRPF) মহিলা কমান্ডোরা (Woman Commando)। একদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র পুরুষ কমান্ডোরাই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকত। এবার থেকে অমিত শাহ, মনমোহন সিং, সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর  নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে মহিলা নিরাপত্তা বাহিনী। এই প্রথম সিআরপিএফ -এর জেড প্লাস নিরাপত্তার দায়িত্বে মহিলা কমান্ডোদের মোয়াতেন করতে উদ্যোগ  নিয়েছে। 

এক সিনিয়ার সিআরপিএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'আমরা ৩২ জন মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে গঠিত মহিলা কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ ভিভিআইপি নিরাপত্তায় প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তারা ১৫ জানুয়ারি থেকে দায়িত্বভার বুঝে নেবে।' এই প্রক্রিয়া এমন সময় এল যখন মোদী সরকার মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী প্রচারে নারীদের ক্ষমায়নের উপর জোর দিচ্ছেন।  সিআরপিএফ-এর তরফ থেকে জানান হয়েছে, তাদের এই পদক্ষেপ সকলেই স্বাগত জানাবে। 

সূত্রের খবর কন্টিনজেন্টের আকারটি খুবই ছোট। কারণ এই কমান্ডোদের প্রাথমিকভাবে তাদের বাসভবনে থাকতে হবে নিরাপত্তার দায়িত্ব এদের মোতায়েন থাকবে। সিআরপিএফ আরও জানিয়েছে, যেহেতু মাত্র ৩২জন মহিলা কমান্ডো রয়েছে তাই প্রতি ভিভিআইপি মাত্র পাঁচ থেকে ছয় জন মহিলা কমান্ডো পাবে। 

সিআরপিএফ আরও জানিয়েছে, এই সময় ছোট আকারে মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হবে। প্রথম দফায় পরীক্ষা করেও দেখা হবে। পরবর্তীকালে এই বিষয়ে আরও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। প্রয়োজনে নির্বাচনী সমাবেশের সময়ও মহিলা সুরক্ষাকারীদের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে। 

তবে গান্ধীদের ও মনমোহন সিং যে এই প্রথম মহিলা কমান্ডোদের সুরক্ষা পাচ্ছেন এমনটা নয়। সূত্রের খবর, তাঁরা যখন এসপিজি সুরক্ষা পাচ্ছিলেন সেই সময়ই একটি বিশেষ সুরক্ষা গ্রুপের মহিলা কমান্ডোদের একটি ছোট দল ছিল যারা তাঁদের বাড়িতে মোতায়েন থাকতে। সেখানেই যাবতীয় নিরাপত্তা প্রদান করত। 

গান্ধীদের ও মনমোহন সিংকে ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে এসপিজি সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পরিবর্তে তাদের জেড প্লাস সুরক্ষা দেওয়া হয়। অন্যদিকে ২০১২ সালে ন্যাশানাল সিকিউরিটি গার্ড, যা দেশের প্রধান সন্ত্রাসবাদী দমন বাহিনী যেটি ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা প্রদান করে তারা ২৫ জন সদস্যের একটি মহিলা দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এরা মায়াবতী ও জয়ললিতার নিরাপত্তার দায়িত্বে মোয়াতেন ছিল। যদিও সূত্রের খবর তাঁরা দুজনেই মহিলাদের সুরক্ষা বলয়ে থাকতে অস্বীকার করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে সেখান থেকে পিছিয়ে এসেছিল।