সংক্ষিপ্ত

যে গতি ও শক্তি নিয়ে সাইক্লোন অশনি এগিয়ে আসছিল, সেই শক্তি থাকছে না অশনির মধ্যে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। তবে এখনও বিপদ কাটেনি। 

আগামী ৪৮ ঘন্টায় সম্ভবত অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশার উপকূলে আছড়ে পড়বে না সাইক্লোন অশনি। ক্রমশ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তি হারাচ্ছে এই সাইক্লোন। তাই যে গতি ও শক্তি নিয়ে সাইক্লোন অশনি এগিয়ে আসছিল, সেই শক্তি থাকছে না অশনির মধ্যে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। তবে এখনও বিপদ কাটেনি। মৎস্যজীবী এবং উপকূলীয় বাসিন্দাদের নয় ও ১০ই মে বঙ্গোপসাগরে এবং ১০ ও ১২ই মে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে গভীর সমুদ্র এলাকায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

বলা হয়েছিল দ্রুত গতিতে শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। রবিবার নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। তারপরই শক্তি সঞ্চয় করছে। কিন্তু এটির স্থলভাবে প্রবেশের সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীন হয়ে আসছে। কারণ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন ১০ মে অর্থাৎ সোমবার এটি ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। তবে আর আগে ঘূর্ণিঝড় পৌঁছে যাবে অন্ধ্র উপকূলের কাছে। একাধিকবার গতি বদলে অশনি নাজেহাল করে দিচ্ছে আবহাওয়াবিদদের। 

সোমবার ভারতের আবহাওয়া দফতরের প্রবীণ বিজ্ঞনী আর কে জেনামনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি বিশাখাপত্তনম ও পুরী থেকে প্রায় ৪৫০ ও ৫০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তবে এটি উপকূলের কাছে এলেই শক্তি হারাবে। কারণ পশ্চিমী শুষ্ক বাতাস ঘূর্ণঝড়ে প্রবেশ করবে। ১১ মে উপকূলের কাছাকাছি আসার সময় এর তীব্রতা হ্রাস পাবে। এটি উড়িশা উপকূলও স্পর্শ করবে না। তবে এটি এখনও একটি মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে। ১২ ঘণ্টায় ২১-২৫ কিলোমিটার গতিবেগে এগিয়ে আসছে। 

সাইক্লোন অশনির আপডেট সম্পর্কে তথ্য

অশনি, যার অর্থ সিংহলী ভাষায় 'ক্রোধ', বঙ্গোপসাগরে ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার দিকে এগিয়ে চলেছে।

আসানি ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ে দুর্বল হয়ে উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে ফিরে আসবে এবং ওড়িশা উপকূলে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা করা হচ্ছে, আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় ওড়িশা জুড়ে অনেক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং গজপতি, গঞ্জাম এবং পুরীর এক বা দুটি জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত (৭-১১ সেমি) হতে পারে, আইএমডি জানিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার দুপুর পর্যন্ত পুরীর দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রায় ৬৮০ কিলোমিটার এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল।