সংক্ষিপ্ত

ইতিমধ্যে ওড়িশা, পুরী, কেন্দ্রাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, কটক প্রভৃতি অঞ্চল থেকে প্রায় দশ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে। 

ওড়িশায় আছড়ে পড়ল "এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোন" ফণী। দিল্লির মৌসমভবন থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, এদিন সকাল আটটা থেকে বারোটার মধ্যে পুরীতে আছড়ে পড়বে। হলও তাই।  আবহবিদদের মতে, আগামী অন্তত ছয় ঘণ্টা ওড়িশায় দাপাবে এই সাইক্লোন।

ইতিমধ্যে ওড়িশা, পুরী, কেন্দ্রাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, কটক প্রভৃতি অঞ্চল থেকে প্রায় দশ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ১৪৭ টি ট্রেন। ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় হেল্পলাইন খোলা হয়েছে। যে কোনও মানুষ বিপদে পড়লে ১৯৩৮ এ ফোন করতে পারে। গোটা বিষয়টাই তৎপরতার সঙ্গে নজরে রাখছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।

১৯৯৯ এর সাইক্লোনের সাক্ষী ওড়িশা। সেবার ঝড়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১০০০০ মানুষের। সেবারও ঝড়ের গতি ছিল ২৭০-৩০০ কিমি। এবারেও ওড়িশা প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ ফণীর গতি। আয়লাকে বলা হয়েছিল সিভিয়ার সাইক্লোন। ফণীকে আ এক্সট্রিম সিভিয়ার বলছেন খোদ আবহবিদরাই। জয়েন্ট টাইফুন  ওয়ার্নিং সেন্টার একে গত কুড়ি বছরের সবচেয়ে বিপজ্জনক সাইক্লোন বলে আখ্যা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে পুরীর মন্দিরের সমস্ত আচার অনুষ্ঠান। এখন দেখার কী ভাবে গোটা দুর্যোগ মোকাবিলা করে ওড়িশা। ফণী ওড়িশা হয়েই ঢুকবে বাংলায়। ফলে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের তরফেও। চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।  নজর দেওয়া হচ্ছে লকগেটগুলির। ২০০৯ সালের আয়লার ত্রাস এখনও স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি পশ্চিমবঙ্গবাসীর। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, কলকাতা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয় এই ঝড়ে। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে আয়লার প্রভাবে এক লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হন।অন্তত ১০০টি নদীবাঁধ ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সারা দেশে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা ১,৫০,০০০-এর কাছাকাছি দাঁড়ায়।