সংক্ষিপ্ত

  • মধ্য আরবসাগরে ক্রমেই শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় মহা
  • গুজরাট উপকূলে ৬ নভেম্বর আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে
  • দিউ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল 
  • আবহাওয়া দপ্তরের মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধাজ্ঞা 

ঘূর্ণিঝড় মহা আরও শক্তি সঞ্চয় করে ৬ থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে গুজরাট উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে। রবিবার মুম্বইয়ের আবহাওয়াদপ্তর জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য দিকে গুজরাটের আবহাওয়া দপ্তর রাজ্যবাসীকে আগেই সতর্ক করে জানায়, ৬ নভেম্বর রাতে ঘূর্ণিঝড় মহা গুজরাত উপকূলে আঘাত হানবে। দ্বারকা ও দিউয়ের মধ্যবর্তী অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে গুজরাটের আবহাওয়াদপ্তর জানিয়েছে। যার জেরে পরের দিন থেকে গুজরাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। 

আরও পড়ুন বায়ু দূষণে ভয়াবহ পরিস্থিতি দিল্লি-র, রাজধানী সরানোর দাবি নেটিজেনদের


রবিবার মুম্বইয়ের আবহাওয়াদপ্ত থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  ৬ নভেম্বর থেকে উত্তর কোনকান ও মহারাষ্ট্রের মধ্য  এবং উত্তর এলাকায় প্রবল বজ্র বিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময় মৎস্যজীবীদের  সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন হায় পৃথিবী, বাবার হাতে ধর্ষিত হল মেয়ে, এ আমরা কোথায়

ভারতীয় আবহাওয়াদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, মধ্য ও পূর্ব আরবসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মহা ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে গুজরাটের দিকে ধেয়ে আসছে। মহা বর্তমানে দিউ থেকে ৫৮০ কিলোমিটার ও ভেরাভাল থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।  যার ফলে দক্ষিণ গুজরাটে ভারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গুজরাটের উপকূল থেকে সোমবার ক্ষমতা হ্রাস করে ওমানের দিকে চলে যাবে বলে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। গুজরাতের সৌরাস্ট্রে সব থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে বলে আবহাওয়া দপ্তর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। নৌপরিষেবা বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। সৌরাস্ট্রের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জাকি করা হয়েছে। গুজরাটে এখন থেকে থেকেই ত্রাণ মজুদের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।