সংক্ষিপ্ত
পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযুক্ত শিক্ষক, ৪০ বছর বয়েসী চৈল সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা এবং এসসি/এসটি আইনের আওতায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ঘটনার নিন্দা করেছেন
দেশ স্বাধীন হয়েছে। ৭৫ বছর আগে! তবে পরিস্থিতি কি আদৌও স্বাধীন হয়েছে, প্রশ্ন ওঠে। এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক কারণ যে ঘটনা সামনে এসেছে, তা রীজিতমত লজ্জার ও যন্ত্রণার। জানা গিয়েছে আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে মারা যায় দলিত নাবালক। অবশ্য শুধু মারা যাওয়া বললে ভুল হবে, বলা ভালো মারধর খেয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মারা যায় সে। কিন্তু কেন মারা হল তাকে? রাজস্থানের নয় বছর বয়সী ওই দলিত নাবালকের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে উচ্চবর্ণের লোকদের জন্য রাখা একটি পাত্র থেকে জল পান করার জন্য তাকে নির্দয়ভাবে একজন শিক্ষক মারধর করেন। অকথ্য মারধর করার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যায় সে।
পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযুক্ত শিক্ষক, ৪০ বছর বয়েসী চৈল সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা এবং এসসি/এসটি আইনের আওতায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ঘটনার নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন যে মামলাটি দ্রুত তদন্তের জন্য কেস অফিসার স্কিমের অধীনে নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী গেহলট টুইটারে জানিয়েছেন “জালোরের সায়লা থানা এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকের হাতে মার খেয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু দুঃখজনক। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যা এবং এসসি/এসটি আইনের ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে,”। মৃতদের স্বজনদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর অনুসারে, ঘটনাটি ২০ জুলাই রাজস্থানের জালোর জেলার সুরানা গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলে ঘটেছিল, যেখানে শিক্ষক স্কুলে জলের পাত্র স্পর্শ করার জন্য নাবালককে মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ।
প্রথমে তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে তাকে উদয়পুরে রেফার করা হয়েছিল যেখানে তাকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চিকিত্সা করা হয়েছিল। এরপর তাকে আহমেদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তার অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত শনিবার ওই ছাত্র মারা যায়। নাবালকের পরিবার জানিয়েছে শিশুটির মুখে ও কানে গুরুতর জখম হয়।
রাজস্থানের বিরোধী দলের উপনেতা রাজেন্দ্র রাঠোর এই ঘটনার নিন্দা করেছেন এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।