কাশ্মীরে বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা, উপত্যকার বাতিল হল স্বাধীনতা দিবসের সমস্ত অনুষ্ঠান
কিশতওয়ার জেলার চশোতিতে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জনের। মাছেল যাত্রার রুটে এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে অনুমান, ২০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ। উদ্ধারকাজ চলছে।

জম্মু ও কাশ্মীরে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কিশতওয়ার জেলার চশোতিতে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে বাড়ছে ফের দেখা দিয়েছে মৃত্যু মিছিল। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অনেকে নিখোঁজ বলে শোনা যাচ্ছে। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে খবর। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, ১২০ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে, ২০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ।
মাছেল যাত্রার রুটে বিপর্যয় হয়েছে বলে অনুমান। এবার ২৫ জুলাই থেকে ৩০ কিলোমিটার মাছেল যাত্রার শুরু হয়েছে। ট্রেক করে মাছেল মাতা মন্দিরে পৌঁছাতে হয়। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের অন্যতম জনপ্রিয় যাত্রা চলার কথা ছিল যা আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
ভয়াবহ দুর্যোগের খবর পেতেই শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সমস্ত রকম সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রপতি লেখেন, শোকাহত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানাই। উদ্ধরকাজ যেন সফলভাবে চলতে পারে, সেই প্রার্থনা করি।
সদ্য এই নিয়ে মন্তব্য করছেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য জেলা প্রশাসন, পুলিশ, ভারতীয় সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ কুমার শর্মা বলেন, শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। বেশ কয়েকজন নিখোঁজ থাকায় মৃত্যু সংখ্য়া আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে উদ্ধারকারী দল।
কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এই বিপর্যয়ে কতখানি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বা কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা সরকারি ভাবে জানানো হয়নি।

