সংক্ষিপ্ত
প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, প্রি-ইন্ডাকশন ট্রায়ালের অংশ হিসেবে এই প্রলয় মিসাইলেরপরীক্ষাটি তার সমস্ত মিশনের উদ্দেশ্য সফলভাবে পুরণ করবে।
ভারত মঙ্গলবার ওড়িশা উপকূলে দেশীয়ভাবে উন্নত সারফেট টু সারফেল ট্যাকটিক্যাল মিসাইল 'প্রলয়' সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা দেশের প্রতিরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দ্রুত এটি সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও এই ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করেছে। এটি পৃথ্বী ডিফেন্স ভেহিকেল ইন্টারসেপ্টর মিসাইল ও প্রহার ট্যাকটিক্যাল মিসাইলে ব্যবহার করা প্রযুক্তি ও অপারেশনাল কনফিগারেশন পরীক্ষা এতে ব্যবহার করার পরই পরীক্ষা করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার সময় আব্দুল কামাল দ্বীপ থেকে এর সফল উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, প্রি-ইন্ডাকশন ট্রায়ালের অংশ হিসেবে এই প্রলয় মিসাইলেরপরীক্ষাটি তার সমস্ত মিশনের উদ্দেশ্য সফলভাবে পুরণ করবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যালিস্টিক ট্র্যাজেক্টোরি অনুসরণ করে এবং নিয়ন্ত্রণ, নির্দেশিকা এবং মিশন অ্যালগরিদমকে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়।
এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেছেন, অত্যাধুনিক এই মিসাইলটি সব প্রত্যাশা পুরণ করেছে। এটি একটি দুর্দান্ত মিশন। আঘাত থেকে হত্যা সবকিছুতেই এটি নির্ভুল বলে প্রমাণ দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এটি প্রমাণ করেছে সবকিছু। আর সেই কারণে এটি দ্রুত প্রতিরক্ষাখাতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এটি ছিল ক্ষেপণাস্ত্রের তৃতীয় পরীক্ষা। এটি ২০২১ সালে পরপর দুটি সফল ট্রায়ালের দুই বছর পর পরিচালিত হয়েছিল। কঠিন প্রপেলান্ট রকেট মোটর এবং অনেক নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে চালিত ক্যানিস্টারাইজড মিসাইলটির স্ট্রাইক রেঞ্জ ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ক্ষেপণাস্ত্রটি অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল ইন্টারসেপ্টরকে পরাস্ত করার জন্য ম্যানোউভারেবল রিএন্ট্রি ভেহিকেল (MaRV) ব্যবহার করে মধ্য-এয়ার ম্যানুভার সম্পাদন করে।