সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার হাউজ খাস থানার স্টেশন হাউসে এক অফিসারের কাছে চিঠি লিখে জয় অনন্ত দেহাদ্রি অভিযোগ করেছেন, গত ৫ ও ৬ নভেম্বর জোর করে মহুয়া তাঁর বাড়িতে হাজির হন।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ দায়ের তাঁরই প্রাক্তন বন্ধু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রির। এবার তিনি জানিয়েছেন মহুয়া মৈত্র তাঁকে ভয় দেখানোর জন্য অনুপ্রবেশ করেছিলেন। দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লেখে অভিযোগ জানানোর তিন সপ্তাহ পরে তিনি এই দাবি আবারওকরলেন।
মঙ্গলবার হাউজ খাস থানার স্টেশন হাউসে এক অফিসারের কাছে চিঠি লিখে জয় অনন্ত দেহাদ্রি অভিযোগ করেছেন, গত ৫ ও ৬ নভেম্বর জোর করে মহুয়া তাঁর বাড়িতে হাজির হন। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে লেখা চিঠিতে আইনজীবী বলেছেন, মহুয়া মৈত্র গত ৫ নভেম্বর সকাল ১১টা ও পরের দিন অর্থাৎ ৬ নভেম্বর সকাল ৯টার সময় তাঁর বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়েন। মহুয়া জোর করে তাঁর বাড়িতে আসতে পারে এই আশঙ্কাও তাঁর রয়েছে। তাঁর সঙ্গে আবারও এজাতীয় প্রতারণা করা হয়েছে।
আইনজীবী আরও বলেছেন, মহুয়া মৈত্র এই প্রতারণামূলক ও জাল অভিযোগ সম্পর্কে আগেই তিনি দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি। তিনি আরও বলেছেন ভয় দেখানোর উদ্দেশ্য নিয়েই মহুয়া তাঁর বাড়িতে এসেছিল। এই গোটা ঘটনার তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
একটা সময় মহুয়া আর জয় অনন্তর সম্পর্ক ছিল। তবে তাদের মধ্যে তীব্র ঝগড়াঝাটি হয়েছিল। পোষ্য হেনরির দেখভালের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে তানিয়ে বিবাদ চলছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, মৈত্র, গত ছয় মাসে দেহদরয়ের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অনুপ্রবেশ, চুরি, অশ্লীল বার্তা এবং অপব্যবহারের জন্য একাধিক পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়া মৈত্রার বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন করার জন্য ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি স্পিকার ওম বিড়লাকে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানান। দুবে বলেছেন যে তিনি দেহদরয়ের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন যিনি "অকাট্য" প্রমাণ ভাগ করেছেন যে মৈত্রা সংসদে প্রশ্ন করার জন্য হিরানন্দানির কাছ থেকে "নগদ" এবং "উপহার" আকারে ঘুষ নিয়েছিলেন। যা দুজনের সম্পর্ক শেষের ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুনঃ
caste survey: মাসে ৬ হাজার টাকা আয় করে ৩৪ শতাংশ পরিবার,জাত গণনার চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট বিহারে