সংক্ষিপ্ত
স্কুলের শৌচালয়ের ভিতরেই ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই দুই সিনিয়র সহপাঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের আঞ্চলিক কার্যালয়ও বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
আবার দিল্লিতে নারী নির্যাতন। এবার স্কুলের শৌচালয়ের ভিতরেই ১১ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তারই দুই সিনিয়র সহপাঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের আঞ্চলিক কার্যালয়ও বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
দিল্লির মহিলা কমিশনের বয়ান অনুযায়ী গত জুলাই মাসে দিল্লির স্কুলের মধ্যেই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দিল্লির মহিলা কমিশন ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনার পরই নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি প্রশাসন। সংগঠনই প্রথম পুলিশের দ্বারস্থ হয়। দিল্লির মহিলা কমিশন গোটা ঘটনাটিকে গুরুতর বিষয় বলে দাবি করেছে। এই বিষয়ে দিল্লির পুলিশ ও স্কুলের অধ্যক্ষকে একটি নোটিশ জারি করেছে। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানাননি তারও কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা ও মা এই বিষয়ে তাদের কিছুই জানায়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করার পরই তারা সবকিছু জানতে পেরেছে। সেই সময়ই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা। এটির অধীনে ১২০০ টিরও বেশি স্কুল রয়েছে গোটা দেশের ২৫টি জায়গায়।
পুলিশ জানিয়েছে মঙ্গলবার নির্যাতিতা অভিযোগ দায়ের করেছে। সঙ্গে সঙ্গেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান স্বাতি মালিওয়াল বলেছেন, 'আমরা দিল্লির একটি স্কুলে ১১ বছর বয়সী ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনাটি অত্যান্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। মেয়েটি অভিযোগ করেছে তার স্কুল গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।' রাজধানীও শিশুদের জন্য নিরাপদ নয় বলেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই বিষয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও করেছেন তিনি। পাশাপাশি এই বিষয়ে গোটা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করার উচিৎ বলেও মন্তব্য করেছেন।
মহিলা কমিশন জানিয়েছে, নাবালিকা অভিযোগ করেছে জুলাই মাসে শ্রেণী কক্ষে যাওয়ার সময় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর দুই ছাত্রের সঙ্গে তার মারামারি হয়েছিল। সেই সময়ই দুই ছাত্র তাঁকে ক্ষমা চাইতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু ছাত্রীটি তা না মানলে তাঁকে অশালীন ভাষায় গালিগালজ করা হয়। তারপরই দুই ছাত্র তাকে টেনে স্কুলেরই শৌচালয়ে নিয়ে যায়। তারপর শৌচালয়ের দরজয় তালামেরে দুজনেই তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন কিশোরী। তাঁর ওপর অকথ্য অভিযোগ হয়।
কিশোরী আরও জানিয়েছে, গোটা বিশয়টি তিনি স্কুলেরই এক শিক্ষককে জানিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে বলা হয়েছিল অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ বন্ধ রাখতেও নির্দেশ দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই বিষয় তাদের কাছে কোনও অভিযোগই জমা পড়েনি। পাল্টা স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মেয়েটির বাবা মাও এই বিষয়ে তাদের কিছুই জানায়নি। অভিভাবক শিক্ষক মিটিং-এও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করার পরই বিষয়টি তাদের নজরে আসে বলেও জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর অভিযুক্তি দুই ছাত্র আর শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কমিশন স্কুলের অধ্যক্ষকে জানাতে বলেছে যে স্কুল কর্তৃপক্ষ কখন বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছিল এবং তাদের দ্বারা কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এটি স্কুলকে এই বিষয়ে পরিচালিত তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি প্রদান করতে বলেছে।