সংক্ষিপ্ত

সোমবার সকালে দিল্লি-NCR এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৪.০ পরিমাপ করা হয়েছে।

সোমবার সকালে দিল্লিতে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্প এতটাই তীব্র ছিল যে মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। কয়েক সেকেন্ড ধরে মাটি কাঁপতে থাকে। আতঙ্কিত হয়ে মানুষ ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে। ভূমিকম্পের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান। 

প্রধানমন্ত্রী মোদীর আবেদন

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। ভূমিকম্পের কম্পন বেশ কয়েকটি শহরে অনুভূত হয়েছে, যার ফলে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ একটি পোস্ট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “দিল্লি এবং এর আশেপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আমি সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করার এবং শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।”

 

 

৪.০ তীব্রতা পরিমাপ করা হয়েছে

ন্যাশনাল সেন্টার অফ সিসমোলজি অনুসারে, ভূমিকম্পের কম্পন সোমবার সকাল ৫ টা ৩৬ মিনিটে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ৪.০ পরিমাপ করা হয়েছে এবং এর কেন্দ্র ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল।

সোমবার ভোর ৫টা ৩৬ নাগাদ তীব্র ভূমিকম্পন অনুভূত হয়। দিল্লি ছাড়াও আগ্রা, হরিয়ানা সহ বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর জেরে আতঙ্কিত হয়ে বহু মানুষ ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। সোমবার ভোর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ট্রেন ধরতে যাত্রীদের ভিড় ছিল নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে। এমন কম্পনের জেরে আতঙ্কিত হন সকলে। স্টেশনের চায়ের স্টলের এক বিক্রেতা এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, একদম যেন ঝটকা লাগল। বিষটি স্বাভাবিক ছিল না। মানে সব কিছু নড়ছিল। কাউন্টার নড়ছিল, জিনিসপত্র নড়ছিল। হয়তো ২ সেকেন্ডের জন্যেই অনুভূত হয়েছিল সেই কম্পন। আমাদের সামনে খদ্দের ছিলেন। তারা আতঙ্কিত হয়ে চেঁচাতে শুরু করে দিয়েছিলেন। অল্পক্ষণের জন্যে হলেও বেশ তীব্র ছিল সেই কম্পন। একবার তো মনে হয়েছিল কোনও ট্রেনের সংঘর্ষ হল কি না।