সংক্ষিপ্ত
অবৈধভাবে গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর অভিযোগ ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বচান বন্ধ করতেই তাঁকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অবশেষে সোমবার , ২৯ এপ্রিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদন শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। বাতিল হয়ে যাওয়া অবগারি নীতি-কাণ্ডে আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তিনি জামিন আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলা শুনানি হবে আগামিকাল। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
অবৈধভাবে গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর অভিযোগ ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বচান বন্ধ করতেই তাঁকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর ওপর আক্রমণও তাঁর গ্রেফতারি। মামলায় তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে নিশানা করেছিলেন। কেজরিওয়াল বলেছিলেন যে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে যখন মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট কার্যকর হয়েছিল তখন তার গ্রেপ্তারের ধরণ, পদ্ধতি এবং সময় ছিল।
কেজরিওয়াল দাবি করেছেন আম আদমি পার্টির ওপর আঘাত করতেই দলের নেতাদের বেছে বেছে জেলে পোরা হয়েছে। ইডি ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দাবি করেছেন, যে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণার পাঁচ দিন পরে এবং আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পাঁচ দিন পরে ইডি একজন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং জাতীয় বিরোধী দলের একটি জাতীয় আহ্বায়ককে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেজরিওয়ালের সঙ্গে তাঁর দলের নেতা মন্ত্রীদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে কেজরি রয়েছে তিহার জেলে।
কী এই আবগারি কেলেঙ্কারি
বিআরএস নেত্রী কে কবিতা, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আপ নেতা মণীষ সিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিং-কে মদ নীতির সঙ্গে জড়িয়ে মামলা তৈরি করেছে। এদের এই কেলেঙ্কারিতে ষড়যন্ত্রকারী বলে চিহ্নিত করেছিল। মদ নীতি নিয়ে ইডি বলেছিল, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দিল্লি আর দক্ষিণ ভারত। ইডি দক্ষিণের লবি বলেছিল। আরও বলেছিল, দক্ষিণ লবি আপকে ১০০ কোটি টাকা দেবে। কয়েকজন অভিযুত্ত ও সাক্ষীর বয়ান অনুযায়ী কেজরিওয়ালের নাম উঠেছিল। তাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, মদ নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত বিজয় নায়ার অধিকাংশ সময়ই কেজরিওয়ালের অফিসে কাটাতেন। কেজরিওয়ালের সঙ্গেও মদ নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন। নায়ারই ইন্দোস্পিরিট মালিক সমীর মহেন্দ্রুকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়েছিলেন। এর আগে এই কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয়েছে মণিষ সিসৌদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈনকে।