শুক্রবার ভোরে দিল্লির রানি ঝাঁসি রোডের এক কারখানায় ঘটল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন শ্রমিকের এনডিআরএফ-এর পক্ষ থেকে এখনও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ 

রবিবার সকাল সকালই ঘটে গিয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনা। দিল্লির রানী ঝাঁসি রোডে আনাজমান্ডির ভিতর এক কারখানায় ভোররাতে আগুন লেগে অসহায়ভাবে মরতে হয়েছে ৪৩জন শ্রমিককে। বহু ধোঁয়ায় দম আটকে গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন শুরু হয়েছে আগুন লাগার কারণের অনুসন্ধান।

Scroll to load tweet…

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ইলেকট্রিক লাইনে শর্ট সার্কিট হয়ে, তার থেকেই আগুন লাগে কারখানা ভবনটিতে। তবে শুধু কারণ অনুসন্ধান নয়, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে উদ্ধারকাজও চলছে এখনও। এনডিআরএফ-এর ডেপুটি কমান্ডান্ট আদিত্য প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, ভবনের প্রতিটি জায়গায় তন্ন তন্ন করে তল্লাশি করা হচ্ছে। ভস্মীভূত বাড়িতে ধ্বংসস্তূপের নিচে বিভিন্ন জায়গায় এখনও কেউ আটকে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Scroll to load tweet…

দিল্লি পুলিশের পিআরও এমএস রণধাওয়া-ও জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগার কথা উঠে এসেছে। তিনি আরও জানান, বাড়িটিতে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের বস্তু মজুত থাকাতেই ব্যাপক পরিমাণে ধোঁয়া তৈরি হয়েছিল। আর আগুনের থেকেও এই ধোঁয়াতেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান, ক্রাইম ব্রাঞ্চ-কে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগুন লাগার কারণ বিষয়ে নিশ্চিত হতে ফরেন্সিক তদন্তকারীদের কাজে লাগানো হবে।

Scroll to load tweet…

শুধু তাই নয়, দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে রেহান নামে এক ব্যক্তি বাড়িটির মালিক। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (উত্তর) মনিকা ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকেই এই রেহানের কোনও খোঁজ মিলছে না।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, তিনি এই ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট স্তরের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ঘুরিয়ে কেজরি প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন, বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। নাম না করে তিনি বলেছেন, 'কাউকে তো ঘটনার দায় নিতেই হবে'। বিহারের মন্ত্রী সঞ্জয় ঝাঁ, কোনও রাখঢাক না রেখে সরাসরি দিল্লির বিদ্যুত বিভাগ-কেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…