শুক্রবার ভোরে দিল্লির রানি ঝাঁসি রোডের এক কারখানায় ঘটল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন শ্রমিকের বেলা বাড়তেই শুরু হয়েছে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী, থেকে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সকলেই আছেন এই দৌড়ে 

রবিবার সকাল হতেই সারা দেশ জেনেছে দিল্লির মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের কথা। ভোররাতে ঘুমের মধ্য়েই অসহায়ভাবে মরতে হয়েছে এখনও পর্যন্ত ৪৩জন শ্রমিককে। আরও বহু শ্রমিক গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনার কথা জানার পরই শোকপ্রকাশ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেলা বাড়তেই শুরু হল ক্ষতিপূরণ-এর ঘোষণা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে জানিয়েছেন দিল্লির মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের নিকটতম আত্মীয়দের প্রত্যেককে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (পিএমএনআরএফ) থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় গুরুতর আহতদের প্রত্যেকের পরিবার-কে ৫০,০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

Scroll to load tweet…

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে ছাপিয়ে গিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন ঘটনাস্থলে এসে তিনি জানিয়েছেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

Scroll to load tweet…

বিহারের মন্ত্রী সঞ্জয় ঝাঁ জানিয়েছেন দিল্লির ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের অধিকাংশই পূর্বাঞ্চল ও বিহারের। মৃত ৪৩ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন আছেন, যাঁদের বাড়ি বিহারের মধুবনী ও দারভাঙা জেলায়। তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারে জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

Scroll to load tweet…

এদিকে দিল্লি বিজেপির সভাপতি তথা উত্তর-পূর্ব দিল্লির সাংসদ মনোজ তিওয়ারি জানিয়েছেন, দিল্লি বিজেপির পক্ষ থেকেও হতাহতদের পরিবারদের আর্থিক সাহায্য করা হবে। দিল্লি বিজেপি, নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ২৫০০০টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবে।

Scroll to load tweet…

এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিযোগিতার মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন, মূল্যবান জীবনের ক্ষতিপূরণ কি কোনও অর্থমূল্যেই চোকানো যায়? নেটিজেনরা বলছেন এর থেকে কি কারণে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটসল তার সঠিক তদন্ত করে ভবিষ্যতে যাতে এই রকম ঘটনা আর না ঘটে সেটা সুনিশ্চিত করা উচিত।