সংক্ষিপ্ত
- দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে
- সেখানে থাকবে অক্সিজেন বেড
- থাকবে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা
- এছাড়াও থাকছে আইসিইউ-র ব্যবস্থা
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই। সর্বত্র হাহাকার। করোনা আক্রান্ত রোগিদের জন্য শয্যা অপ্রতুল রাজধানী দিল্লিতে। একদিকে যেমন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, তেমনই ক্রমশ কমছে শয্যার সংখ্যা। এর জেরে রীতিমত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগিদের। দিল্লি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শয্যার অপ্রতুলতাকে সামাল দিতে তাই নয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে হচ্ছে।
দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার জানিয়েছে শহরের সরকারি স্কুলগুলিকে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে। সেখানে থাকবে অক্সিজেন বেড, ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা। থাকছে আইসিইউ-র ব্যবস্থাও। এতে কিছুটা সুরাহা হবে শয্যা সমস্যার। ইতিমধ্যেই দীন দয়াল উপাধ্যায় মার্গের বেশ কয়েকটি সরকারি স্কুলকে করোনা আক্রান্ত রোগিদের জন্য হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সোমবারই তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবারই তাঁর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে এইমসে ভর্তি করা হয়েছে। করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এর মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা, দিগ্বীজয় সিং। করোনা আক্রান্ত হন শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কউর। ১৬ই এপ্রিল তাঁদের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে। ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যুর হার। উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬১৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ২লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০জন। এই পরিস্থিতিতে নিজের ভারত সফর বাতিল করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। উল্লেখ্য, ২৫শে এপ্রিল ভারত সফরে আসার কথা ছিল বরিস জনসনের।
মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক, কেরল, ছত্তিসগড়, মধ্য প্রদেশ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান এবং গুজরাটে ১০ হাজারেরও বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত ১,৫০,৫৭,৭৬৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২,৭৪,৯৪৪ টি নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ১,৭৮,৭৯৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়। একদিনে মারা গিয়েছেন ১,৬২০ জন।