সংক্ষিপ্ত

দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কয়েক দিন আগেই জঙ্গি সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে- এর অর্থ এই নয় যে দুই ব্যক্তিই সাধারণতন্ত্র দিবসে কোনও নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।

চলতি সপ্তাহে দিল্লি পুলিশ দিল্লি থেকে জঙ্গি সন্দেহে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। এখন পর্যন্ত যা তদন্ত রিপোর্ট তাতে অনুমান করা হচ্ছে তাতে তারা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। হ্যান্ডলারজের বোঝানোর জন্য তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রমোদ কুশওয়াহা রবিবার সাংবাদিকদের তেমনই জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন এই ঘটনার সঙ্গেই যুক্ত করা হয়েছে জাতীয় রাজধানীদে উদ্ধার হওয়া দুটি টুকরো টুকরো লাসের মামলা। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করেছে।

দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কয়েক দিন আগেই জঙ্গি সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে- এর অর্থ এই নয় যে দুই ব্যক্তিই সাধারণতন্ত্র দিবসে কোনও নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। তারা ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করছিল বলেও অনুমান পুলিশের। ধৃতদের গ্রেফতারের পর উদ্ধার হয়েছে দুটি মিলিটারি গ্রেনেড, হ্যান্ড গ্রেনেড, পিস্তল , কার্তুজ।

দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তি জগজিৎ ও নাওশাদকে রীতিমত জেরা করা হচ্ছে। আগামী মাসে তারা ডানপন্থী নেতাদের চিহ্নিত করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। জগজিতের হ্যান্ডলার ছিল কান্ডার আরশদ ডাল্লা। এই ব্যক্তি একজন সন্ত্রাসবাদী। আর নওশাদের সঙ্গে পাকিস্তান গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর যোগ রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান তাকে সীমান্তের ওপর থেকে পাঠান হয়েছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে দুই ব্যক্তির গ্রেফতারিতে বড়সড় নাশকতার ছক এড়ানো গেছে। জগজিৎ জগ্গা এখনও তাদের হেফাজতে রয়েছে।

২০১৮ সালে জগ্গার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ছিল। তার বিরুদ্ধে আরও একটি এনকাউন্টারের মামলা রয়েছে। জগ্গার সম্পর্ক সীমান্তের ওপারে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে রয়েছে- এই প্রামান পুলিশের হাতে রয়েছে। পাশাপাশি জগ্গার বিরুদ্ধে তোলাবাজিরও একটি মামলা রয়েছে। কুশওয়ার আরও জানিয়েছেন, বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী তার সঙ্গে হলদওয়ানি জেলে দেখা করতে এসেছিল।

শনিবার দিল্লি পুলিশ এই মামলার তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই সন্ত্রাসবাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুটি হাতবোমা ও এক ব্যক্তির টুকরো টুকরো করা দেহ উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

নওশাদ সন্ত্রাসী সংগঠন 'হরকাত উল-আনসার'-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সে দুটি হত্যার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় ১০ বছরের সাজা ভোগ করেছে, দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া তেমনই বলেছেন। তবে কী কারণে বর্তমানে সংশোধনাগারের বাইরে রয়েছে নওশাদ তা এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে জগ্গা কুখ্যাত বাম্বিহা গ্যাংয়ের সদস্য। বিদেশ থেকে দেশবিরোধী কাজের নির্দেশ পেয়ে সক্রিয় হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের একটি খুনের মামলায় প্যারলে মুক্ত রয়েছে। তারা আর কোনও মামলয় জড়িয়ে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।