সংক্ষিপ্ত
বায়ুদূষণের পারদ স্বাভাবিক মাত্রা পার করেছে দিল্লিতে। এহেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শনিবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলো আপ সরকার।
বায়ুদূষণের পারদ স্বাভাবিক মাত্রা পার করেছে দিল্লিতে। এহেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর দিল্লি- সরকার। নাগরিকদের যাতে এই বায়ুদূষণের কারণে নতুন করে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় তাই শনিবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলো আপ সরকার। শুক্রবার জারি হলো এই ঘোষণা। তবে সরকারি কর্মচারীরা যে নিন্তান্তই বাড়িতে বসেই মাসোহারা পাবেন তেমন নয়। শিক্ষাকর্মীদের মোট ৫০ শতাংশকে বাড়ি থেকে করতে হবে কাজ। এই নির্দেশ জারি করার সঙ্গে সঙ্গে এগুলি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতেও লাগু করার পরামর্শ দিলো দিল্লি।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড অনুযায়ী বর্তমানে দিল্লির বায়ুতে দূষণের মাত্রা এমপি ২.৫। যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। বিশেষজ্ঞদের এবং পরিবেশবিদদের দাবি দিল্লিতে বর্তমানে যে বায়ুদূষণ হচ্ছে তার ৩০ শতাংশ হচ্ছে খড় পোড়ানো থেকে । প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য কয়েকদিন ধরেই ভারতীয় জনতা পার্টি ও আমি আদমি পার্টি পাঞ্জাবে খড় পোড়াচ্ছে কাঁটা তারের ব্যবসার ভালো পশার পাওয়ার জন্য। কিন্তু সেই খড় পড়ানোই বুমেরাং হয়ে ফিরে এলো দিল্লিবাসীর কাছে। বায়ুদূষণের মাত্রা অতিরিক্ত হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন দিল্লিবাসীকে কার্যত ঘরবন্দি হয়েই থাকার পরামর্শ দিলো কেজরিওয়াল।
শুক্রবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার পাঞ্জাবের প্রতিপক্ষ ভগবন্ত মান এই রিপোর্ট জারি হবার পরই স্বীকার করে নেন তাদের খড় পোড়ানোর দায়। এবং অবিলম্বে আসছে শীতে এই খড় পুড়ানোর সংখ্যা যাতে কমে সেবিষয়েও নিশ্চিত করেন তারা। কেজরিওয়াল ও মান যৌথভাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন যে ," পাঞ্জাবে আমাদের সরকার আছে তাই সেখানে "পোড়ালি " পোড়ানো হলে সেই দায় আমাদেরও।কোনো গরিব কৃষকের নয় "এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন যে খড় পোড়ানো একটি "রাজনৈতিক সমস্যা" নয় তবে কেন্দ্রের তহবিল এবং কেন্দ্রের দ্বারা সরবরাহ করা মেশিন থাকা সত্বেও যেভাবে নিত্যনৈমিত্তিক খামারে আগুন ধরছে তা সত্যি উদ্বেগের বিষয়।
ভারতীয় কৃষি গবেষণা পরিষদ এর সর্বশেষ তথ্য বলছে , দীপাবলির পরে এই বায়ুদুষনের মান আরও বেড়েছে। গত ৫০ দিনে পাঞ্জাবে খড় পোড়ানোর ঘটনার সংখ্যা বছরে ১২,৫৯ শতাংশ বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২৬,৫৮৩। তবে, পাঞ্জাবের সাথে তুলনা করলে, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লিতে ধানের খড় পোড়ানোর ঘটনা এই বছরের ১৫ ই সেপ্টেম্বর থেকে ৪ ঠা নভেম্বরের মধ্যে অনেক কম ছিল। সুপ্রিম কোর্ট এই খড় পোড়ানোর বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১০ ই নভেম্বর শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে কোর্ট।
আরও পড়ুন
" সদ্য চাকরি খোয়ালাম " নিজেই টুইট করে ঘোষণা করলেন টুইটার কর্মী যশ
চীনের গুপ্তচর জাহাজ প্রবেশ করেছে ভারত মহাসাগরে , কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক