সংক্ষিপ্ত

চীনের গুপ্তচর জাহাজকে এবার বিশেষ নজরদারিতে রাখছে ভারত। ইতিমধ্যেই ৪০০ জন সেনাকে বহাল করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ওই জাহাজের উপর নজর রাখার জন্য

ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের খবর বেজিং পৌঁছতেই গুপ্তচর জাহাজ নামিয়ে দিল চিন। কেমন ক্ষেপণাস্ত্র, পাল্লা কতদূর, মারণক্ষমতা কতটা, নিশানায় কতটা পটু— সবই জানতে চায় উদ্বিগ্ন বেজিং। সেই লক্ষ্যেই নাকি ‘উয়ান ওয়াং-৬’ ভারত মহাসাগরে ভেসেছে এমনই দাবি বিশেষজ্ঞমহলের।

মাস তিনেক আগে প্রায় একই উদ্দেশে শ্রীলঙ্কার হাম্বনটোটা বন্দরে নোঙর করেছিল একই গোত্রের একটি জাহাজ। যা নিয়ে সেই সময় কলম্বোকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল নয়াদিল্লি। যদিও নয়াদিল্লির আপত্তি কার্যত অগ্রাহ্য করেই হামবনটোটায় নোঙর করেছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘উয়ান ওয়াং পাঁচ’। এ বার আবার একই ঘটনা।

সূত্রের খবর, উয়ান ওয়াং-৬ মূলত ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ এবং উপগ্রহের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব নিয়ে জলে ভেসেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চিনের গুপ্তচর জাহাজ বালি উপকূলের আশপাশে পৌঁছে গিয়েছে।কিন্তু, এখন প্রশ্ন হল, কী এমন হল যে আবার চিনকে গুপ্তচর জাহাজ নামাতে হল? সূত্রের খবর, ভারত নোটাম জারি করেছে। এর অর্থ হল, একটি নির্দিষ্ট সময়ে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে, এই খবর দেওয়া। আগামী ১০ অথবা ১১ নভেম্বর ওড়িশা উপকূলের কাছে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে ২,২০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ভারত। তাতেই উদ্বেগে পড়ে গিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ।

জানা গেছে ওই ২২০০০ টন জাহাজের মধ্যে অত্যাধুকিক অস্ত্র ছাড়াও আছে নজরদারি করার নানান যন্ত্রপাতি। আছে ইলেক্ট্রনিক স্নুপিং এবং বেশ কিছু বড়ো মিসাইল যেগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে নিয়েই জাহাজটি ঢুকেছে ভারতের আইওআর জোনে। ইতিমধ্যেই ওই জাহাজটিকে করা নজরদারিতে রাখছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই ৪০০ জন সেনাকে ওই জাহাজের উপর সর্বক্ষণ নজর রাখার জন্য বহাল করা হয়েছে।

ভারতে যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হবে সেটি আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে ছুটে যাওয়ার যাবে শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝখান দিয়ে ভারত মহাসাগরে। এই প্রসঙ্গে ভারতের উদ্বেগের জায়গা অন্য। চিন এ বার চেষ্টা করতে পারে, ক্ষেপণাস্ত্রটির যাত্রাপথ নিরীক্ষণের পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষ গতিবিধি, ক্ষমতা এবং পাল্লা মাপার। প্রসঙ্গত, হুইলার দ্বীপ থেকে ভারত প্রায়শই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে থাকে।

এ বছর অগস্টেই একই গোত্রের একটি জাহাজ দক্ষিণ চিন সাগরে ফেরার আগে শ্রীলঙ্কার হাম্বনটোটা বন্দরে নোঙর করে। সেই সময়ও ভারতের দাবি ছিল, এই জাহাজ পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের উপর নজরদারি চালানো। পাশাপাশি ভারত প্রেরিত উপগ্রহের গতিবিধির উপরও নজর রাখা। যদিও বেজিং কখনওই নয়াদিল্লির এই দাবি মানেনি। কার্যত ভারতের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই শ্রীলঙ্কার বন্দরে নোঙর করে চিনের গুপ্তচর জাহাজ। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই আবার ভারত মহাসাগরে ভাসছে চিনের গুপ্তচর জাহাজ।

আরও পড়ুন

" সদ্য চাকরি খোয়ালাম " নিজেই টুইট করে ঘোষণা করলেন টুইটার কর্মী যশ

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগে ড্রাগনের নতুন চাল, ভারত মহাসাগরে চিনের গুপ্তচর জাহাজ

ধোনির বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ,প্রতিক্রিয়ায় মাড্রাস্ হাই কোর্টে পিটিশন জমা প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের