সংক্ষিপ্ত

দিল্লি, গাজিয়াবাদ-সহ একাধিক জায়গায় ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি। রবিবারেও বৃষ্টি কমার কোনও লক্ষণ না থাকায় ছুটি ঘোষণা করা হয় স্কুলগুলিতে।

প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল উত্তর ভারত। দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশে চলছে নাগারে বৃষ্টি। বৃষ্টি হচ্ছে হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডেও। প্রবল বৃষ্টির জেরে দিল্লি-গজিয়াবাদের একাধিক জায়গায় জল জমার খবর আসছে। একদিকে নাগারে চলা বৃষ্টি অন্যদিকে কানওয়ার যাত্রা। দুইয়ের কারণে আপাতত ১৫ জুলাই পর্যন্ত গাজিয়াবাদে স্কুল ছুটির ঘোষণা করল প্রশাসন। এদিকে রবিবারও কমল না বৃষ্টি। ছুটির দিনেও দিনভর আকাশ কালো করে চলল বৃষ্টি। দিল্লি, গাজিয়াবাদ-সহ একাধিক জায়গায় ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি। রবিবারেও বৃষ্টি কমার কোনও লক্ষণ না থাকায় ছুটি ঘোষণা করা হয় স্কুলগুলিতে। সোমবার, ১০ জুলাই দিল্লিতেও স্কুল ছুটির ঘোষণা করল সরকার।

মৌসুমি বায়ুর দাপটে ভারতের রাজধানীর হাল এখন অনেকটা সমুদ্রের মতোই। রাস্তায় বেরোলেই বিশাল বিশাল ঢেউ, তার ওপরে বৃষ্টির কমতি নেই। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, শনিবার শুধুমাত্র সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা অবধি, অর্থাৎ মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২১.৪ মিলিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৫৩ মিলিমিটার।

মুষলধারে লাগাতার বৃষ্টির দাপটে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়েছে দিল্লিতে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫টি বাড়ি ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। করেল বাগ এলাকার টিবিয়া কলেজ সংলগ্ন একটি বড় দেওয়াল ভেঙে পড়ে চাপা পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৮ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়ার। ১৯৮২ সালের পর ২০২৩ সাল, অর্থাৎ বিগত ৪০ বছরে জুলাই মাসে এত বৃষ্টি কখনও দেখেনি দেশের রাজধানী। এর জেরে সারা শহর জুড়ে প্রচুর গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইন্টারনেটে দিল্লির রাস্তার বহু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যাতে কখনও দেখা যাচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রায় এক কোমর সমান জলে নেমে ফুটবল খেলছেন ছাত্ররা, অন্যদিকে আবার, রাস্তায় নেমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিত্য যাত্রীরা। বাইক আরোহীরা একেবারে প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করছেন। ব্যাপক সমস্যায় পড়ে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।