সংক্ষিপ্ত

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে দুই আদিবাসী ভাইকে কাজে যাওয়ার সময় অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির সমালোচনায় সরব তৃণমূল।

 

মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী দুই ভাইকে অপরহণ করে মারধরের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সিবরাজ সিং চৌহানেরও তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গোটা ঘটনা অত্যান্ত অমানবিক আর নির্লজ্জ। ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'রাস্তায় ঝগড়ার পরে অপহৃত দুই আদিবসী ভাইকে ইন্দোরে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান এই তাদের সমস্যা সমাধানে উদাসীন'। তৃণমূল কংগ্রেস একহাত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীকেও। বলেছে, 'নরেন্দ্র মোদী নিউ ইন্ডিয়া বলে চিৎকার করলেও তার নতুন ভারত বৈষম্য আর অত্যাচারে ভরা। '

 

 

মধ্যপ্রদেশের ঘটনাঃ

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে দুই আদিবাসী ভাইকে কাজে যাওয়ার সময় অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। অপহৃত দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন আবার নাবালক। ইন্দোরের ট্রেজার ফ্যান্সাসি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় তাদের বাইকটি পিছলে যায়। দুই চাকা গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে দুই ভাই। সেই সময় এক রক্ষী সেখানে উপস্থিত ছিল। তার কাছেই দুই ভাই সাহায্য চায়। গাড়ি তুলে দিতে আবেদন জানায়। কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষী তাদের সাহায্য করা তো দূরের কথা তাদের দুজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে গার্ড হাউসে প্রায় ৬ ঘণ্টা আটকে রাখে। সেখানে দুজনকে মারধর করা হয়। তিন থেকে চার জন দুইভাইয়ের ওপর অত্যাচার করে। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন।

মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন জানিয়েছে বিষয়টি নিয়ে তৎপর পুলিশ। ডিসিপি আদিত্য মিশ্র জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিন জনের খোঁজ চলছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুই ভাই-ই দিন মজুরের কাজ করে। তাদের বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর দুইজনই নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে সাহায্য চায় ও একটি ঠিকানা জানতে চায়। তারপরিবর্তে নিরাপত্তারক্ষীরা কলোনির একটি বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করে। অভিযুক্তরা হল সুমিত চৌধুরী, প্রেম সিং পারমার, জয়পাল সিং বাঘেলা আর ঘনশ্যাম।

দিন কয়েক আগেই মধ্যপ্রদেশেই এক আদিবাসী তরুণে মখে প্রস্রাব করে দেয় এর তরুণ। সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও আদিবাসী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। যা নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির মধ্যে।