সংক্ষিপ্ত

জাতীয় রাজধানীতে কোভিড পজেটিভির হার দাঁড়িয়েছে ০.৮৯ শতাংশ, যা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চ। চৌঠা জুন, দিল্লিতে ৫২৩ জন একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।

করোনা সংক্রমণ এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেল নয়াদিল্লিতে (Delhi Covid case)। ডেটা জানাচ্ছে দিল্লিতে মঙ্গলবার নতুন করে ৪৯৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন (Delhi reports 496 Covid cases)। যার সংখ্যা গতকালের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি (50% more than yesterday) বলে জানানো হয়েছে। চৌঠা জুনের পর দিল্লিতে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি। জাতীয় রাজধানীতে কোভিড পজেটিভির হার দাঁড়িয়েছে ০.৮৯ শতাংশ, যা ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে সর্বোচ্চ। চৌঠা জুন, দিল্লিতে ৫২৩ জন একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছিল ৫০ জনের। 

সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয় করোনা পজেটিভির হার দাঁড়ায় ০.৬৮ শতাংশ। সোমবার দিল্লিতে ৩৩১ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হন। দিল্লিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫,১০৭-য়ে পৌঁছেছে। এদিকে, সোমবার অর্থাৎ ২৭শে অক্টোবর থেকে রাজধানী দিল্লিতে জারি করা হয় নাইট কার্ফু। দেশ জুড়ে ফের বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত তাই নাইট কার্ফু জারি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। রবিবার ২৪ ঘন্টায় ২৯০ জন একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছে দিল্লিতে। এরপরেই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করে কেজরিওয়াল সরকার। 

শনিবারের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি ছিল সংক্রমণের হার। করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর। কেস পজিটিভিটি রেট ০.৫ শতাংশে উঠেছে। এই হার পরপর দুদিন থাকলেই রাজ্য জুড়ে হলুদ সতর্কতা জারি করার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার বলে সূত্রের খবর।

দিল্লি সরকারের চার-পর্যায়ের গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (GRAP) এর আওতায় হলুদ সতর্কতা জারি হলে বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ জারি হবে বলে মনে হচ্ছে। কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গের আশঙ্কায় GRAP-তে জুলাই মাসে অনুমোদন দেয় দিল্লি সরকার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিজোড়-বিজোড় নিয়মে দোকান সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে।

হলুদ সতর্কতার আওতায়, শহরের রেস্তোরাঁগুলিকে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ক্ষমতায় কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে। অন্যদিকে, বারগুলি ৫০ শতাংশ ক্ষমতায় দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে। বর্তমানে যে সিনেমা হল এবং মাল্টিপ্লেক্স দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত ছিল সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে ব্যাঙ্কোয়েট হল ও অডিটোরিয়ামের ক্ষেত্রে। তবে হোটেল খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে।