সংক্ষিপ্ত

অন্ধ্র প্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার রাজামুদ্রির একটি গয়নার দোকানের রাতের বেলার সিসিটিভি ফুটেজ ঘিরেই রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ফুটেজে দেখা গেছে দোকানের ভিতরে অন্ধকারে দুটি হাত নড়ছে।

সম্প্রতী একটি সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV) ভাইরাল হয়েছে। পাশাপাশি সেই সিসিটিভি ফুটেজ ঘিরে ক্রমশই রহস্য দানা বাঁধছে। কারণ সদ্যো ভাইরাল হওয়া ফুটেজটি ঘিরে আবারও নতুন করে 'ভূত' বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। কারণ দোকানের মালিক দাবি করেছেন ওই সিসিটিভি ফুটেজে একটি অশরীরিকে হাত নাড়তে দেখা গেছে। 

অন্ধ্র প্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার রাজামুদ্রির একটি গয়নার দোকানের রাতের বেলার সিসিটিভি ফুটেজ ঘিরেই রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ফুটেজে দেখা গেছে দোকানের ভিতরে অন্ধকারে দুটি হাত নড়ছে। এই ফুটেজ সামনে আসার পরই স্থানীয় জানিয়েছেন রাতের বেলা তাঁরা দোকান থেকে নানা রকম শব্দ পান। 

সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গয়নার দোকানটিকে নিয়ে নানা রকম জল্পনা শুরু করেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন দোকানে যখন মানুষ থাকে না, তারা তখন সেখান থেকে অদ্ভূত সব আওয়াজ পায়। মানুষের চলা ফেরার ও কথা বলার শব্দও নাকি তারা শুনেছে। দোকানের মালিক জানিয়েছেন সাদা ছায়ার দুটি ছবি তিনি দেখতে পেয়েছেন সিসিটিভি ফুটেজে। তবে সেই ছবির কোনও স্বচ্ছতা নেই। তাঁর অন্য কিছু বলে মনে হচ্ছে। 

এজাতীয় ঘটনা যে এই প্রথম ঘটছে তা নয়। এর আগে দিল্লিক কোর্ট হলে এজাতীয় ঘটনা ঘটেছে। সেটিও ভাইরাল খবরের মত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই কোর্ট হলে চেয়ার পড়ে যায়, কাগজ পড়ে যায় আপনা থেকেই। কোনও কর্মী বা ব্যক্তির ছাড়াই জড় পদার্থ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা সরে যায়। তবে কী কারণে এজাতীয় ঘটনা ঘটেছে তার কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অদ্ভূত এজাতীয় শব্দ নানা জায়গা থেকেই পাওয়া যায় বলে অনেকেই দাবি করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 

বিশেজ্ঞদের কথায় বাতাসের কারণে অনেক সময় এজাতীয় অদ্ভূত শব্দ শোনা যায়। কিন্তু রাজামুন্দ্রি জেলার গয়নার দোকানের রহস্যময় ফুটেজ নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের কথায় সিসিটিভির ওপর কোনও আলো পড়ে সাদা ছাপ তৈরি হয়েও থাকতে পারে। তবে সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। 

ভূত-প্রেত নিয়ে এই আধুনিক যুগেও অনেক গবেষণা হয়। এক দলের দাবি অশরীরা বা আত্মা রয়েছে। তবে যুক্তিবাদী দল সেই তথ্য উড়িয়ে দেয়।  দুই দলই নিজেদের স্বপক্ষের একগুচ্ছ প্রমাণ দাখিল করেছন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যেমন ভূত রয়েছে তার যেমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তেমনই অনেক অলৌকিক ঘটনা রয়েছে যার কোনও সমাধান হয়নি।