সংক্ষিপ্ত

  • দিল্লির সবথেকে বড় আবর্জনার স্তুপ এবার নাকি ছাড়িয়ে যাবে তাজমহল-কেও
  • ইউনাইটেড নেশনস ইতিমধ্যেই দিল্লিকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী বলে গণ্য করেছে
  • ইতিমধ্যেই এই আবর্জনার স্তুপটি প্রায় ৪০টি ফুটবল মাঠের সমান জায়গা অধিগ্রহণ করে রয়েছে

দিল্লির সবথেকে বড় আবর্জনার স্তুপ এবার নাকি ছাড়িয়ে যাবে তাজমহল-কেও। বিষয়টি শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ইউনাইটেড নেশনস ইতিমধ্যেই দিল্লিকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী বলে গণ্য করেছে। কারণ এই দিল্লিতেই অবস্থিত দেশের সবথেকে উঁচু আবর্জনার স্তুপ। সমীক্ষা বলছে, এইভাবে চলতে থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যেই তাজমহলের থেকেও উঁচু হয়ে যাবে এই আবর্জনার স্তুপ। 

ইতিমধ্যেই এই আবর্জনার স্তুপটি প্রায় ৪০টি ফুটবল মাঠের সমান জায়গা অধিগ্রহণ করে রয়েছে। পূর্ব দিল্লির সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার অরুন কুমার-এর কথায়, আবর্জনার স্তুপটি ইতিমধ্যেই ৬৫ মিটার উঁচু হয়ে গিয়েছে। আর এইভাবে চলতে থাকলে এর উচ্চতা যেখানে গিয়ে দাঁড়াবে, ২০২০ সালের মধ্যে এর উচ্চতা তাজমহল-কেও ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে, এই জঞ্জাল এতটাই সুউচ্চ যে, এর স্তুপের উপরে বিপদ সংকেত-যুক্ত লাল সংকেত লাগিয়ে দেওয়া দরকার, যাতে বিমানগুলি এর দ্বারা সতর্ক হতে পারে। 

গণবিবাহে বাঁধা পড়লেন বিশেষভাবে সক্ষম ১৮ যুগল

প্রসঙ্গত, গাজিপুরের এই জঞ্জালের স্তুপটি ১৯৮৪ সালে প্রথম খোলা হয়েছিল। ২০০২ সালেই এর স্বাভাবিক জঞ্জাল ধরে রাখের ক্ষমতা পেরিয়ে গিয়েছিল। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ২০০০ টন আবর্জনা জমা হয়। ২০১৮-এর ভারী বর্ষের ফলে এর একাংশ ধ্বসেও গিয়েছিল। তার জেরে দুজন মানুষের মৃত্যুও হয়েছিল। এরপর থেকে সেখানে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এরপর পুরসভা আর কোনও পরিবর্তীত উপায় না পাওয়ায় সেই নিয়মই জারি রয়েছে।