রামমোহর লোহিয়া হাসপাতালে দিল্লি রেল স্টেশনের দুর্ঘটনায় আহতের সঙ্গে আনা হয়েছে মৃতদেরও। হাসপাতাল সূত্রের খবর বেশিরভাগ মৃতদেহের বুকে ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। 

নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পদদলিত (Delhi stampede) হওয়ার ঘটনায় সময় যতই যাচ্ছে ততই সামনে আসছে ভয়ঙ্কর তথ্য। প্রকট হচ্ছে ভারতীয় রেলের (Indian Railway) বেহাল দশা। এখনও পর্যন্ত পদদলিত হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৮। আহত হয়েছে প্রচুর মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দিল্লি রেল স্টেশনের একটি ফুটওভার ব্রিজে প্রবল ভিড় হয়ে যায়। ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে অনেতেই দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই ব্রিজেই ১০-১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডক্টর রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে, আধিকাংশেরই বুকে আর পেটে চোট রয়েছে।

রামমোহর লোহিয়া হাসপাতালে দিল্লি রেল স্টেশনের দুর্ঘটনায় আহতের সঙ্গে আনা হয়েছে মৃতদেরও। হাসপাতাল সূত্রের খবর বেশিরভাগ মৃতদেহের বুকে ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শ্বাসরোধকেই সম্ভাব্য মৃত্যুর কারণ হসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। আরএমএল হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ অজয় ​​শুক্লা বলেছেন, 'আমরা ৫টি মৃতদেহ পয়েছি। যার মধ্যে একজনের বয়স ২৫। একজন পুরুষ ও বাকিরা মহিলা। তিনজনের বয়স তিরিশের কোঠায়। একজনের বয়স ৭০। মৃতদেহ পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতাল (এলএনজেপি) সূত্র জানিয়েছে যে শনিবার রাতের পদদলিতের ঘটনায় আহতদের বেশিরভাগেরই নিম্নাঙ্গে আঘাত এবং অন্যদের হাড়ের আঘাত ছিল। জাতীয় রাজধানীর এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তাররা ছেড়ে দিয়েছেন। ১৫ জন চিকিৎসকের একটি দল বর্তমানে আহত রোগীদের চিকিৎসা করছে।

অন্যদিকে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা বর্ণনা করছেন স্টেশনে থাকা একাধিক কুলি প্রত্যক্ষদর্শীরা। স্টেশনের কুলি কৃষ্ণ কুমার যোগী বলেছেন, প্রয়াগরাজগামী একটি ট্রেন আসার সময় ভিড় বেড়ে যায়। ফুটওভার ব্রিজে প্রচুর মানুষ জমে যায়। এতটাই ভিড় ছিল যে সেখানেই দমবন্ধ হয়ে ১০-১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন. ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে মৃতদেগ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছে, ভিড়ে চাপা পড়াদের মধ্যে শিশু আর মহিলারাও রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি করে নামার সময়ই কিছু লোক পা পিছলে পড়ে যায়। তারপরই পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর কর্মজীবনে তিনি দিল্লি স্টেশনে এত ভিড় দেখেননি। তিনি বলেছেন, 'মানুষের জুতা, চপ্পল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। আমরা বিশৃঙ্খলা থেকে অনেক শিশু এবং বয়স্কদের বের করে এনেছি। '

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।