সংক্ষিপ্ত

  • হোলির পরের দিনই দিল্লির হিংসা নিয়ে আলোচনা
  • বুধবার আবারও সংসদ উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা
  • দিল্লির হিংসা নিয়ে জবাব দেবেন অমিত শাহ
  • শুক্রবার ১১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় সংসদ

দীর্ঘ টালবাহানার পর সংসদে উঠতে চলেছে দিল্লির হিংসা প্রসঙ্গ। এই অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই দিল্লির হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সরব ছিলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। সংসদে আলোচনার পাশাপাশি তাঁরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহরে পদত্যাগও দাবি করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে  ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ ও স্পিকার ওম বিড়লার টেবিল থেকে কাগজ ছিনিয়ে তা ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগে কংগ্রেসের সাত সাসংদকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু তারপরেও নিজের অবস্থানে অনড় ছিল সরকার পক্ষ। স্পিকার জানিয়েদেন দিল্লির হিংসা নিয়ে আলোচনার এটা সঠিক সময় নয়। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার আবারও উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ পরেও বন্ধ হয়ে যায় কাজকর্ম। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয় দুই কক্ষের অধিবেশন। 

আরও পড়ুনঃ "টাকা সুরক্ষার আশ্বাস", ইয়েস ব্যাঙ্ক নিয়ে রাহুলের নিশানায় মোদীনমিক্স

কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে ১১ মার্চ দিল্লির হিংসা নিয়ে স্বল্প সময়ের আলোচনা হবে। তবে কোনও ভাবেই ভোটাভুটির রাস্তায় হাঁটা হবে না। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী জানিয়েছেন, বিরোধীদের দাবি মেনে এখনই দিল্লির হিংসায় আলোচনায় রাজি হয়েছে সরকার। বিরোধী দলের সাংসদরা সংসদের নিয়ম মেনেই বিতর্কে অংশ নেবেন। বর্তমানে দিল্লির পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তাই রাজধানীর শান্তি যাতে বজায় থাকে সেই দিকে নজর দেওয়াও জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি। 

আরও পড়ুনঃ শুক্রবারও উত্তপ্ত সংসদ, ১১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত দুই কক্ষের অধিবেশন

এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও পিছু হাঁটে সরকার পক্ষ। জানান হয় দিল্লির হিংসা নিয়ে হোলির পরের দিনই আলোচনা হবে সংসদে। জাবাব দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ওই দিন আবারও উত্তাল হতে পারে সংসদ। দিল্লির হিংসায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা উত্তর পূর্ব দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়ে ভয়ঙ্করভাবে। হিংসা রুখতে প্রথমে পুলিশ তেমন উদ্যোগ নেয়নি বলেই অভিযোগ। দিল্লির পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তাই রাজধানীর হিংসা নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধীদের নিশানায় পড়েছেন তিনি। অন্যদিকে দিল্লির নির্বাচনী প্রচারেও বিজেপি নেতারা একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। দলের কেন্দ্রীয় স্তরের শীর্ষ নেতা হয়েও অমিত শাহ কোনও লাগাম পরারনি বলেও অভিযোগ উঠেছে।