সংক্ষিপ্ত

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দেশের উত্তর পশ্চিমে এদিন কোন কুয়াশা নেই। দৃশ্যমানতা স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত শৈত্য প্রবাহের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

আপাতত স্বস্তি দিল্লিতে। প্রবল শৈত্য প্রবাহের হাত থেকে সাময়িক মুক্তি। গত দুই দিনে জাতীয় রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ে পশ্চিমী ঝঞ্ঝারকারণে গতকালের তুলনায় বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৩.৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন সদরজং মানমন্দির শহরের আবহাওয়া কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে পালামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দেশের উত্তর পশ্চিমে এদিন কোন কুয়াশা নেই। দৃশ্যমানতা স্বাভাবিক রয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত শৈত্য প্রবাহের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে বুধবার দিল্লিতে গত ১২ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি শৈত্যপ্রবাহ হয়েছিল। চলতি বছর ৫-৯ জুনায়ারি দিল্লিতে একটানা শৈত্য প্রবাহ হয়েছে।

এদিন হাওয়া অফিস দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। আগামী কয়েক দিল্লিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পারে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে রাতের দিকে আবহাওয়া থাকল পরিষ্কার। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার দিল্লির তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ২৩-২৫ জানুয়ারি পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগ়ড় উত্তর রাজস্থান, পশ্চিম উত্তর প্রদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী কয়েক দিন দিল্লিতে সকালে মেঘলা থাকবে। সঙ্গে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। সর্বনিন্ম ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫-৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। তবে এদিন কুশায়ার কারণে নর্দান রেলওয়ের ১৩টি ট্রেন দেরিতে চলছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে।

শীতের দিন

হাওয়া অফিসের নিয়ম অনুযায়ী উত্তর ভারতের কনকনে ঠান্ডার দিন মুলত ধরা হয় তাপমাত্রার পারদ যখন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হয়। পাশাপাশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪.৫ ডিগ্রি কম থাকে। এদিন দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রির আসেপাশে।

আইএমডির মতে ঘন কুয়াশা তখনই বলা হবে যখন দৃশ্যমানতা ০-৫০ মিটারের মধ্যে থাকবে। আ ৫১-২০০ মিটারের থাকলে তাকে বলা হবে ঘন কুয়াশা। মাঝারি কুয়াশায় মূলত দৃশ্যমানতা থাকে ২০১ - ৫০০ মিটার।

মূলত সমতল ভূমিতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয় , যখন তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যায় বা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪.৫ ডিগ্রি কম হয়। নূন্যতম তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেলে প্রবল শৈত্য প্রবহের বলে দাবি করা হয়।

আরও পড়ুনঃ

যাত্রাশেষ! হঠাৎ করেই নিজের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন

যোশীমঠ ডুবছে, এই অবস্থায় কোথায় রাখা হবে শিব-বিষ্ণুর বিপুল ঐশ্বর্য? চিন্তায় কর্তৃপক্ষ

কুয়াশাকে সঙ্গী করেই ঘুম ভাঙল কলকাতার, জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা অনেকটাই কম