সংক্ষিপ্ত

 

যোশীমঠের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। মাটির অতলে তলিয়ে যাচ্ছে যোশীমঠ। এই অবস্থায় কেদার আর বদ্রীনাথের মন্দিরের সম্পদ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কর্তৃপক্ষ।

জোশীমঠ ডুবে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নরসিংহ মন্দির কর্তৃপক্ষের। কারণ এই মন্দিরের অবস্থাও তথৈবচ। নরহিংস মন্দিরে বদ্রীনাথের সম্পদ কোথায় রাখা হবে যা নিয়ে চিন্তা বাড়চ্ছে কর্তৃপক্ষের। যদিও এখনও পর্যন্ত মন্দিরটি নিরাপদে পয়েছে। কিন্তু তারপরেও মন্দির কর্তৃপক্ষ দেবত্তোর সম্পদ রাখার জন্য বিকল্প স্থানের সন্ধান শুরু করেছে।

বদ্রীনাথ মন্দিরের প্রচুর পরিমাণে সোনা রুপোর গয়না আর টাকা পয়সা রয়েছে। কিন্তু যোশীমঠের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হওয়ায় এই সম্পদের কোথায় রাখা হবে তা জন্য এখনও থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাইছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর সম্পদ রাখার জন্য বেশ কয়েক জন তাদের একাধিক স্থানের অফার করেছেন।

বর্তমানে যোশীমঠের যা অবস্থা তাদের সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিংধর ওয়ার্ড ও জেপি কলোনি। যা নরসিংহ মন্দির থেকে মাত্র আধ কিলোমিটার দূরে অবস্থায়। শীতের সময় হিমায়লে অবস্থিত মন্দিরগুলি বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় ভগবান বিষ্ণু ও বদ্রীনাথের প্রধান দেবতা যোশীমঠের নরসিংহ মন্দিরে পুজো করা হয়। এখনও দেবতারা সেখানেই রয়েছে। কিন্তু গরমকাল পড়া পর্যন্ত যোশীমঠের কি পরিস্থিতি থাকবে? কোথায় রাখা হবে দেবতাদের? তাই নিয়েও চিন্তা বাড়ছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বদ্রীনাথের প্রবল ঐশ্বর্য ও সম্পদ রয়েছে। সেগুলি গরমকালে মন্দির খোলার সঙ্গে সঙ্গে যেমন সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়, আবার শীতকালে তা নামিয়ে আনা হয়।

বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান অজেন্দ্র অজয় বলেছেন, নরসিংহ মন্দির ও তার প্রাঙ্গনে এখনও পর্যন্ত কোনও ফাটাল দেখা যায়নি। তবে একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা একটি বিকল্প পরিকল্পনা করছি, যদি এটি অনিবার্য হয়ে পড়ে তবে সম্পদগুলি কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁরা কেদার ও বদ্রীনাথের সম্পদ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানের খোঁজ খবর করছেন। এই অবস্থায় তাঁদের নজরে সবথেকে সুরক্ষিত স্থান হল পিপলকোটিতে অবস্থিত একটি গেস্টহাউস।

তিনি আরও জানিয়েছেন এই বিষয়ে ভগবান বিষ্ণু ও ভগবান শিবের অনেক ভক্তদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেছেন। অনেকেই পাণ্ডুকেশ্বের দেবতাদের ধন-সম্পদ রাখার পরামর্শ দিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এখনই দেবতাদের সম্পত্তি কোথায় স্থানান্তর করার প্রয়োজন নেই। তবে তাঁরা আরও জানিয়েছেন তারা প্রার্থনা করছেন এমন ঘটনা যেন না ঘটে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ধনসম্পদের পরিমাণ ৩০-৩৫ কেজি রুপো আর ৪০-৪৫ কেজি সোনা।

আরও পড়ুনঃ

বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উদ্বোধন করবেন একাধিক প্রকল্পের

ইন্ডিগো বিমানের জরুরি দরজা খোলা নিয়ে বিতর্ক, কংগ্রেস-তৃণমূলের নিশানায় বিজেপির সাংসদ তেজস্বী সুরিয়া

আগমী বছর লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত নাড্ডাই বিজেপির সভাপতি, ঘোষণা করলেন অমিত শাহ