সংক্ষিপ্ত
কাটল ২১ দিনের লকডাউনের প্রথম দিন
আর গোটা ভারত জুড়ে আক্রান্ত হলেন জরুরী পণ্য সরবরাহ কর্মীরা
নষ্ট হল বিপুল পরিমাণ দুধ ও শাকসব্জির মতো পণ্যাদি
বুধবার রাতে লকডাউন গাইডলাইনে পরিবর্তন আনল কেন্দ্র
ভারতে জারি হয়েছে লকডাউন। একদিন আগেই টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, করোনা মানে কোই রোড পর না নিকলে (কেউ রাস্তায় বেরোবেন না)। এই অবস্থায় বুধবার ২১ দিনের ভারত বন্দির প্রথম দিনে মুদিখানার জিনিস, ওষুধ এবং খাদ্যের মতো প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীরা রাস্তায় পরিষেবা দিতে বেড়িয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন। এমনকী নষ্ট হল বিপুল পরিমাণ দুধ ও শাকসব্জির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদি। এরপরই বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে লকডাউন গাইডলাইনে কিছু পরিবর্তন আনা হল।
মূলত, ২১ দিন ধরে লকডাউন চলাকালীন আরও কয়েকটি প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি বিভাগ-কে লকডাউন প্রোটোকলের বাইরে আনা হল। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় সহায়ক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা, কয়লা ও খনিজ উৎপাদনকারী বিভাগ, খাদ্যসামগ্রী, চিকিৎসার যন্ত্রাদি প্যাকেজিং তৈরির বিভাগ, আমদানি ও রফতানি পণ্যগুলির আন্তঃরাজ্য চলাচল এবং এলপিজি গ্যাস, ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা পণ্য সরবরাহ এবং খাদ্য পণ্যের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের আন্তঃরাজ্য চলাচল-কে লকডাউন বহির্ভূতের তালিকাভুক্ত করা হল।
এদিকে এদিন বিগবাস্কেট, ফ্রেশমেনু, এবং পোর্তিয়া মেডিকেল, গ্রোফারস, ফ্রেশটুহোম, মিল্কবাস্কেট থেকে শুরু করে অনলাইন বিভিন্ন জরুরি পণ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলি একযোগে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের কর্মীদের পুলিশের হাতে নাকাল হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। বস্তুত, এদিন এই পরিষেবা কর্মীদের কোথাও পুলিশ হেনস্থা করেছে, কোথাও মারধর করেছে, কয়েকটি ক্ষেত্রে গ্রেফতার-ও করেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী কেরলে করোনাভাইরাস আক্রান্তের কাছেই চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন এক সরবরাহ কর্মী।
এই অবস্থায় সরবরাহকারী সংস্থাগুলির মালিকরা একসুরে সরকারের কাছে এই বিষটির দ্রুত সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন। সরকার তাঁদের ছাড় দেওয়ার পরও আইনরক্ষীদের হাতে যদি বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়, তাহলে তাঁদের পক্ষে আর পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। দিল্লিতে এই অবস্থায় লকডাউনের সময় প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে শাক-সবজী বিক্রেতা মুদি ব্যবসায়ী, ও অন্যান্য পরিষেবা কর্মীদের ই-পাস দেওয়া হবে। বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যেও পুলিশের উপর মহল থেকে সরবরাহ কর্মীদের উপর পুলিশি বা অন্য কোনওরকম হামলার অভিযোগ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।