সংক্ষিপ্ত
- গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের ধর্না
- রাতভর সংসদ ভবন চত্বরে ধর্না চলে সাংসদদের
- সকালে সেখানে হাজির হলেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান
- সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের নিজেই চা করে খাওয়ালেন তিনি
কৃষি সংক্রান্ত বিল পাশের প্রতিবাদে সংসদে উত্তেজনা। এবারের স্বল্পমেয়াদি বাদল অধিবেশন যেন বিরোধীদের কাছে হয়ে উঠেছে আন্দোলনের মঞ্চ। আর সেই আন্দোলন মাত্রা ছাড়াতেই রাজ্যসভার ৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। এই সাসপেনশনের মাঝেই তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিএম, আপ, কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন দলের সাসপেন্ডেড সাংসদরা রাতভর সংসদ ভবন চত্ত্বরে ধর্না দেন। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় গানও গাইতে দেখা যায় দোলা সেন ও সঞ্জয় সিংহকে।
মোদী সরকারের বিতর্কিত কৃষি বিল ঘিরে রবিবার রাজ্যসভা উত্তাল হয়ে ওঠে । বিরোধীদের আপত্তি উপেক্ষা করে ধ্বনি ভোটে এই বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পরে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংয়ের বিরুদ্ধে একযোগে অনাস্থা প্রস্তাব আনে ১২টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের সংসদীয় গণতান্ত্রিক রীতির ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়। যদিও সোমবার সেই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন বেঙ্কাইয়া নাইডু।
তবে যাকে নিয়ে বিরোধীদের এত অভিযোগ সেই হরিবংশ নারায়ণ সিংহকে মঙ্গলবার সকালে একেবারে দেখা গেল অন্য মেজাজে। সোমবার সকাল হতেই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানরত সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান। তাঁদের জন্য চাও নিয়ে আসেন হরিবরংশ।
রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর রাতেই গাঁধীমূর্তির সামনে ধর্নায় বসেন ডেরেক সহ ৮ সাংসদ। বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদেরা তাতে যোগ দেন। ‘গণতন্ত্রের হত্যা’, ‘আমরা কৃষকদের জন্য লড়ব’, এমন সব পোস্টার নিয়ে কেন্দ্র-বিরোধী স্লোগান দেন তাঁরা। পরে ধর্নাস্থলে আসেন ফারুক আবদুল্লা, গুলাম নবি আজাদ, দেবগৌড়া, সঞ্জয় রাউত, সুপ্রিয়া সুলেরা। রাজ্যসভায় এসপি বিলের সক্রিয় বিরোধিতা না-করলেও আসেন দলীয় সাংসদ জয়া বচ্চন। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতেও সই করেছেন এসপি-র রামগোপাল যাদব। কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী নিজেকে সম্রাট ভাবছেন। সংসদীয় গণতন্ত্রকে অগ্রাহ্য করছেন।’’
রাষ্ট্রপতির কাছে গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন কংগ্রেস-সহ বারোটি বিরোধী দলের সাংসদেরা। তাঁকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, বেআইনি ভাবে পাশ হওয়া বিলে সই না-করতে। প্রায় সব বিরোধী দলই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই কৃষি সংক্রান্ত বিল পাশের বিরোধিতা করায়, মোদী-বিরোধী আন্দোলন বড় মঞ্চ পেয়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।