সংক্ষিপ্ত

নেটিজেনরা প্রশ্ন তোলে কংগ্রেসের সমস্ত সময় এই ফর্মুলার বিরুদ্ধে কথা বলতেই ব্যয় হয়েছিল। রাহুল গান্ধীর এই ভাষণে তাঁর সমর্থকরা করতালি দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম সমালোচিত হন রাহুল।

পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) জনসভার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হলেন এই নেতা। নেটিজেনদের দাবি কংগ্রেসের (Congress) নেতারা, যারা গত দুই বছর ধরে তিনটি কৃষি আইনের (Three Farm laws) বিরোধিতা করে আসছেন, আইনটি বাতিল হওয়ার পরে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য সেই আইনে বলা কথাগুলোই আওড়ালেন। এই তথ্য তুলেই কৃষকদের কাছে ভোট চাইছে কংগ্রেস। সোমবার পঞ্জাবের হোশিয়ারপুর (Hoshiarpur) থেকে এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। 

হোশিয়ারপুরে একটি জনসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কৃষকদের সরাসরি ফসল বিক্রির ফর্মুলা বাতলে দেন। তিনি বলেন যারা ফসল ফলায়, তারা সরাসরি ফুড পার্কে বিক্রি করতে পারবে। হোশিয়াপুরের এই জনসভার ভিডিও পোস্ট করে সংবাদ সংস্থা এএনআই। এতে রাহুল গান্ধী কৃষকদের বলেন হোশিয়ারপুর কৃষিকেন্দ্র। কংগ্রেস সরকার এখানে একটি ক্লাস্টার গঠনে কাজ করবে। গঠন হবে ফুড পার্ক এবং মেশিন টুলস ক্লাস্টার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখানেই ট্রোলড হন রাহুল। নেটিজেনদের দাবি ভোটের লোভে কংগ্রেস নেতা ভুলে গিয়েছেন যে গোটা কংগ্রেসই বিরোধিতা করেছে।

এদিন রাহুল বলেন আপনি ফুড পার্কে যা কিছু বানাবেন, আলুর চিপস, টমেটো কেচাপ সবই এখানে তৈরি হবে। আপনি আপনার খামারে পণ্য উৎপাদন করবেন। আপনি তা সরাসরি  খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটে নিয়ে যাবেন। আলু, টমেটো, মরিচ যাই হোক না কেন তা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হবে এবং কৃষকরা সরাসরি পকেটে টাকা পাবে।

শেষ দফায় তিনটি রাফল যুদ্ধবিমান আগামী সপ্তাহেই দেশে আসছে

ইসরোর পিএসএলভি-সি৫২-র সফল উৎক্ষেপণ, দেখুন সেই ভিডিও

এরপরেই নেটিজেনরা প্রশ্ন তোলে কংগ্রেসের সমস্ত সময় এই ফর্মুলার বিরুদ্ধে কথা বলতেই ব্যয় হয়েছিল। রাহুল গান্ধীর এই ভাষণে তাঁর সমর্থকরা করতালি দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম সমালোচিত হন রাহুল। নেটিজেনরা বলেন গত পাঁচ বছরে আপনাদের বেশির ভাগ সময় কেটেছে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে। এখন আপনি পাঞ্জাবে ঠিক একই কথা বলছেন, যা কৃষি আইনে ছিল। আপনি কি আদৌও কৃষি আইনের খসড়া পরে দেখেছিলেন। 

উল্লেখ্য, তিনটি কৃষি আইন (Farm Law) বাতিল, নূন্যতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে গত ১৫ মাস ধরে অবস্থান বিক্ষোভ (Farmer Protest) করেছিলেন হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ ও রাস্থানের কৃষকরা। সহানুভূতি আদায় করে নিয়েছিলেন দেশের আরও বাকি বেশ কয়েকটি রাজ্যের কৃষকদের। রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, "কৃষক আন্দোলনে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের বিবেচনাধীন"। এদিন কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, কৃষকদের আন্দোলনের সময় পুলিশি অ্যাকশনের ফলে কোনও কৃষক মারা যায়নি।